দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে দেখা গেল ভিন্ন রকম এক চিত্র। নীলাভ ধূসর শার্ট, গাঢ় নীল প্যান্ট আর গলায় হলুদ স্কার্ফ পরে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত কলেজ ক্যাম্পাসে ছুটে চলছেন একদল তরুণ–তরুণী। তাঁরা কলেজের রোভার ও গার্ল-ইন রোভার সদস্য। ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের সহায়তায় যেন এক অদৃশ্য সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছেন এই স্বেচ্ছাসেবীরা।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা যাতে ঝামেলাহীনভাবে ভর্তি হতে পারে, সেই কাজে এগিয়ে এসেছে বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ। ভর্তির সময় নিয়ম-শৃঙ্খলা রক্ষা, ক্যাম্পাসে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ ও অসৎ উপায়ে ভর্তি ঠেকাতেও তাঁদের ভূমিকা চোখে পড়ার মতো।
রোভার সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ জানান, ‘আমরা দেশসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের টাকা জমা, ফরম সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাজানোতে সহায়তা করছি। এতে শিক্ষার্থীরা কম সময়ে ঝামেলামুক্তভাবে ভর্তি হতে পারছে।’
কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও রোভার স্কাউট লিডার আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ইউনিটে প্রতিদিন ৮ জন রোভার ও গার্ল-ইন রোভার সদস্য ভর্তি কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছে। কয়েক বছর ধরে তাঁরা এভাবে কাজ করে আসছেন, ফলে উপকৃত হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।’
এ ব্যাপারে গার্হস্থ্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও গার্ল-ইন রোভার লিডার রুমানা ফারজানা জানান, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধু পড়াশোনায় নয়, সামাজিক কাজেও সবসময় এগিয়ে থাকে। বিপদে-আপদে একে অপরকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি তারা বিভিন্ন জাতীয় দিবস সহ নানান কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে নিষ্ঠার সঙ্গে।’
বীরগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি সহায়তায় রোভারদের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও স্বস্তি দিচ্ছে। শুধু ভর্তি নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও তরুণদের এই সেবামূলক কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে প্রশংসা কুড়াচ্ছে।