পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটির দিনেও মাঠে সক্রিয় ছিল বন বিভাগ। বন অপরাধ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ করেরহাট এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে।
গতকাল শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) করেরহাট রেঞ্জের করেরহাট সদর বিটের রামগড়-সীতাকুণ্ড ফরেস্ট মৌজার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। লক্ষীছড়া ছড়া সংলগ্ন বড়থলি এলাকায় জব্দকৃত ১ লাখ ২ শত ৫০ ঘনফুট বালি আদালতের নির্দেশে পূর্বের স্থানে প্রতিস্থাপন করা হয়।
আদালতের নির্দেশে প্রতিস্থাপন:
এর আগে বন বিভাগ মামলার ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ পাহাড়ি বালি জব্দ করেছিল। চট্টগ্রাম বন আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হারুন নির্দেশ দেন, জব্দকৃত বালি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আগের জায়গায় ফেরত দিতে হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বন বিভাগ বালি প্রতিস্থাপন করে।
পুলিশের সহযোগিতায় সফল অভিযান:
অভিযানে নেতৃত্ব দেন করেরহাট সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন করেরহাট রেঞ্জ কর্মকর্তা তারিকুর রহমান। অভিযানে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম সরাসরি অংশ নেয়। এছাড়া শহর রেঞ্জ, মীরসরাই রেঞ্জ, করেরহাট রেঞ্জের কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিটের কর্মচারী এবং ধুমঘাট চেকপোস্টের টহল দলসহ প্রায় ৪০–৫০ জন অংশ নেন।
বন কর্মকর্তার সতর্ক বার্তা:
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন,বন অপরাধের বিরুদ্ধে কোন ছাড় নেই। অপরাধীদের দমন করা হবে কঠোরভাবে। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ি এলাকা থেকে বালি উত্তোলন ও পাচার হয়ে আসছে। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বন বিভাগের সাম্প্রতিক এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এই ধরনের নিয়মিত অভিযান হলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।