যশোরের অভয়নগরে ফেরিওয়ালার ভয়াবহ লালসার শিকার হয়েছে ১১ বছরের এক শিশু। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এই মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল মান্নান (৪২) নামের এক ফেরিওয়ালাকে আটক করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ। সে পার্শ্ববর্তী কেশবপুর উপজেলার বেগমপুর এলাকার বাসিন্দা।মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর বিকালে উপজেলার তালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটি বাড়ির পাশে খেলার সময় ফেরিওয়ালা আব্দুল মান্নান তাকে ফুসলিয়ে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে সে শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। বিকালে বাড়িতে ফিরে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখনই সে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পরিবার অভয়নগর থানায় খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে আটক করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার, ডাক্তার ফেরদাউস শান্ত জানান, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ধর্ষণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। স্থানীয়রা বলেন, “এমন নৃশংস ঘটনার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করতে সাহস না পায়।” শিশুটির পরিবার জানায়, তারা দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছেন এবং শিশুটির জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে অভয়নগরে গ্রামাঞ্চলে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অপরাধ দমন ও অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে, আটককৃত ধর্ষককে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।