নওগাঁর রাণীনগরে একটি মাদ্রাসার মসজিদ থেকে তামিম হোসেন (১০) নামে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কালীগ্রাম ডাকাহার মুন্সিপুর মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া ক্বওমি মাদ্রাসার মসজিদ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এদিন দুপুরের দিকে ওই মাদ্রাসার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ভেতরে তীরের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল শিক্ষার্থী তামিম হোসেনের লাশ। তামিম আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ বলতে পারেনি কেউ। শিশু তামিম হোসেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার খড়েরবাড়ি গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
মাদ্রাসার হিফয্ বিভাগের শিক্ষক রিফাত হোসেন জানান, শিশু তামিম হিফয্ বিভাগে লেখাপড়া করতেন। গত ২-৩দিন ধরে গলায় টনসিলসহ জ্বরে ভুগছিল সে। শুক্রবার দুপুরে পার্শ্বের গ্রামের জামে মসজিদে জুমাআ’র নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। নামাজ পর সবাই মাদ্রাসায় এসে দুপুরের খাবারের সময় তামিমকে দেখতে পায়নি। পরে খাবার শেষে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে মাদ্রাসার ওয়াক্তিয়া মসজিদের ভিতরে তীরের সাথে গলায় রশির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। সাথে সাথে রশি কেটে নামানো হয়।
মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র তুষার রানা জানান, তামিম হোসেন মাদ্রাসার মধ্যে খুব মেধাবী ছিল। সবার সাথে হাঁসি-খুশি ভাবেই চলাচল করতো। শুক্রবার মাদ্রাসা ছুটি থাকায় মাদ্রাসার অদুরে সবাই ফুটবল খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে তামিমও আমাদের সাথে ছিল। দুপুরে খাবার পর তামিমকে মসজিদের ভেতরে তীরের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার মহতামিম রেজুয়ানুল ইসলাম দুলাল বলেন, এদিন মাদ্রাসা ছুটি থাকায় তিনি বাড়িতে ছিলেন। নামাজ পর মাদ্রাসার একজন শিক্ষক তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আসলে কিভাবে কি হয়েছে তা বলতে পারেননি কেউ।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশু শিক্ষার্থী তামিম হোসেনের লাশ উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।