যশোরের অভয়নগর উপজেলায় আবার মাদক সিন্ডিকেট বেপরোয়া। ফলে ধ্বংসের দারপ্রান্তে যুবসমাজ। বেশকিছুদিন আগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বেশকিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। যে কারনে উপজেলায় মাদক বিক্রি সেবন কিছুটা কম লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু চিহ্নিত ওইসব মাদক ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও উপজেলায় মাদক বিক্রিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে অভয়নগর উপজেলা আবারও ভয়ংকর মরণ নেশা মাদকে সয়লাব হয়ে পড়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে ওইসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে যুবকদের হাতে-হাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গভীর রাতে চলছে মাদক বিক্রি-সেবন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই তথ্য উঠে এসেছে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৪ নং পায়রা ইউনিয়নের কোটা গ্রাম, পায়রাসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ভাবে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। রাতের গভীরে অবৈধ জুয়াখেলার আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি করা হচ্ছে। যে কারনে আতংকে রয়েছে অভিভাবক মহল। অন্যদিকে ভয়ংকর ওই মাদক বিক্রি সেবন উপজেলার চলশিয়া ইউনিয়নের বাগদাহ গ্রামের প্রকাশ্য চলছে বলে সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও উপজেলার নওয়াপাড়া বুইকরা, ড্রাইভারপাড়া, সরখোলা, সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন, গরুহাট, ধোপাদী, রাজঘাট, লক্ষিপুর, কাপাশহাটি, মশরহাটি, ভাঙ্গাগেট ব্রিজ সংলগ্ন, মহাকাল, চেঙ্গুটিয়া, বালিয়াডাঙ্গা, উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের রানাগাতী, শুভরাড়া ইউনিয়নের লেবুগাতী, শ্রীধরপুর ইউনিয়নের হরিশপুর, বর্ণী, দেওয়াপাড়াসহ উপজেলার সকল স্থানেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এখন সক্রিয় ভাবে মাদক বিক্রি সেবন করছে। সূত্রে জানা গেছে, এসব মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। যে কারনে সমাজের অভিভাবকসহ এদের দাপটে ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। কেউ মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই, তার উপর নেমে আসে হামলা নির্যাতনসহ বিভিন্ন হয়রানি। যে কারনে কেউ মাদক বিক্রি-সেবন দেখেও কিছু বলতে পারেনা। অন্যদিকে ওইসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৌশলে ওইসব মাদক বহনকরে ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতান্ত গ্রাম অঞ্চলে। যে কারনে ধ্বংস হচ্ছে উঠতি বয়সী যুবসমাজ। অন্যদিকে নতুন ভাবে কিছু নারী মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বোরকার মধ্যে মাদক বহন করে, সেবনকারীদের মাঝে পৌঁছে দেয়। এমনকি ওইসব নারী মাদক বিক্রেতারা এমনভাবে মাদক বহন করে দেখে বোঝাও যায়না সে মাদক ব্যবসায়ী। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে জানা গেছে, মাদক সিন্ডিকেট এমনই বেপরোয়া যে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ তো দুরের কথা মুখ খুলতেও ভয় পায়। কারণ মাদক ব্যবসায়ীদের রয়েছে রাজনৈতিক ও লোকবলের ক্ষমতা। তথ্য সূত্রে আরো জানা গেছে, উঠতি বয়সী মাদক সেবিদের অত্যাচারে পরিবার-অভিভাকরা রয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতায়। মাদকের টাকা না পেয়ে বাড়ির মালামাল ভাংচুরসহ মা বাবাকে অনেক মাদকসেবিরা করছে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন। সন্মানের ভয়ে সে সব অভিভাবক বিচার দিতেও ভয় পায়। মাদকের ভয়ংকর থাবায় এখন অভয়নগরের প্রতিটি জনপদ। মরণ নেশা মাদকের ছোবলে পুড়ছে এলাকা, বাড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ নানামুখী অপরাধ। জরুরি ওইসব মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, আমরা মাদক নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি এবং মাদক ব্যবসায়ী সেবনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।