যশোরের অভয়নগরে টিএম আব্দুল হামিদ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে সঠিক উত্তর না পেয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের মৃত আকবর আলী গাজীর ছেলে আলাউদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এতে ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে কোমলমতি ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, কাদিরপাড়া গ্রামের সোহেল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (১৩), কোটা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে রিমি (১৩, জামিরা গ্রামের শফিয়ার রহমানের মেয়ে সিনহা (১৩), সমসপুর গ্রামের মিল্টনের মেয়ে মাধুরী (১৩), দিঘলিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে শর্মি খাতুন (১৩), ও পলাশের মেয় শ্রাবণী (১২)। তারা সবাই ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকালে স্কুলে আসেন আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় তিনি শিক্ষার্থীদের ছবি তোলেন এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবেন বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি শুরু করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থার অবনতি দেখে তাদেরকে দ্রুত অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. আবির হোসেন বলেন, সকালে ভয় পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে ৬ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। শফিয়ার রহমান নামের একজন অভিভাবক বলেন বহিরাগত একজন ব্যক্তি স্কুলে এসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে ভয়ভীতি দেখাতে পারেন না। এব্যাপারে অভিযুক্ত আলাউদ্দিনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে টিএম আব্দুল হামিদ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অপুর্ব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভয় পেয়ে আমাদের ছয়জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, একজন বহিরাগত ব্যক্তি এভাবে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে পারেন না। আমরা ভবিষ্যতে যেন এমন কোন ঘটনা না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখবো।