ভুক্তভোগীরা জানান, রাত ৯টা থেকে আনুমানিক সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ জনের মুখোষধারী ও হেলমেট পরিহিত ছিনতাই চক্র ওই স্থানে ছিনতাই করেছে। ছিনতাইকারীরা দড়ি দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে দুইজন ব্যবসায়ীসহ চারজনের মোটরসাইকেল আটকায়। পরে তাদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এছাড়া চারটি মোটরসাইকেলের মধ্যে ছোট দু’টি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে বড় এফজেড ও পালসার দু’টি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
উপজেলার বিজয়কান্দী বড়বড়িয়া গ্রামের ভুক্তভোগী ফায়সাল রেজা রাব্বী নামে এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ী জানান, রবিবার রাতে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির পরে রাত পৌঁনে ১১টার দিকে আমি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিজয়কান্দী বড়বড়িয়া বাজার থেকে রাণীনগর রেলগেটে যাচ্ছিলাম। পথে রেলগেট-ঝিনা রাস্তার চকের ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে রাস্তায় দড়ির ব্যারিকেড দেয় ছিনতাইকারীরা। এতে আমি মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। এ সময় তিনজন পিছন থেকে আমাকে ধরে ফেলে। এরপর তারা আরও কয়েকজন ছিনতাইকারী এসে আমাকে মারধর শুরু করেন ও ছুরি দেখিয়ে হুমকি দেয়। পরে তারা মাঠের মধ্যে নিয়ে আমাকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে এবং আমার কাছে থাকা নগদ ৫ হাজার ৬০০ টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েট মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ছিনতাইকারীরা আমার দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি এফজেড মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
রাব্বী আরও বলেন, ছিনতাইকারী মোট ৭ থেকে ৮ জন ছিল। তারা আমাকে মাঠের মধ্যে নিয়ে গেলে দেখতে পাই আমাদের বড়বড়িয়া এলাকার তিনজনকে ও ঝিনা গ্রামের একজনকে তারা বেঁধে জমির মাটিতে ফেলে রেখেছে। ছিনতাইকারীদের মধ্যে কেউ মাস্ক পড়ে ছিল, আবার দুইজন হেলমেট পরিহিত ছিল। তারা সেখানে প্রায় আড়াই ঘন্টার মত ছিনতাই চালিয়ে গেছে। পরে আমরা একে অপরের হাত-পা খুলে বাড়ি ফিরি।
আরেক ভুক্তভোগী বড়বড়িয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ ও তার বাবা মেম্বার শাহাজান আলী স্বপন জানান, ছেলে রাণীনগর বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে রেলগেট-ঝিনা রাস্তার চকের ব্রীজ মোড়ে পৌঁছালে ছিনতাইকারীরা দড়ি দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে তাকে ধরে ফেলে। এরপর তাকে মারধর করে বেঁধে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে তার কাছে থাকা নগদ সাড়ে ১২ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও একটি পালসার মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাতেই আমরা থানায় গিয়ে পুলিশকে জানিয়েছি।
রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান বলেন, এই ঘটনাটি আমি এখন পর্যন্ত জানি না।