বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে টাঙ্গাইল জেলার ভুঁইয়াপুর ও গোপালপুর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেশাজীবি, সাংবাদিক, শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ জনগণের মাঝে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১দফা রূপরেখার লিফলেট বিতর করেন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
(১৪মে বৃহস্পতিবার সকালে সরকারি দপ্তর ও বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের পাঠাগার বিষয়ক সহ সম্পাদক সাজিদ হাসান বাবু, সাবেক সহ-সভাপতি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ নাজমুল হাসান হাবিব, গোপালপুর শহর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান, যুবদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম তালুকদার লেলিন, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক রাতুল ইসলাম রুবেল, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রোমান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হিরা মিয়া, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রোমান রোমান বাবু, আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখায় ৩১ দফা সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, যাহা বইয়ের বিস্তারিত উল্লেখ করা রয়েছে।
১. সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন: ২. সম্প্রীতিমূলক সমন্বিত রাষ্ট্রসত্তা (Rainbow Nation) প্রতিষ্ঠা ও “Natio Reconciliation Commission” (জাতীয় সমন্বয় কমিশন) গঠন: ৩. নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, ৪. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা: ৫. প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ: ৬. আইন সভায় উচ্চকক্ষের প্রবর্তন: ৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন: ৮. নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন: ৯. স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন। ১০. জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন: ১১. প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন: ১২. মিডিয়া কমিশন গঠন: ১৩. দুর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ন্যায়পাল নিয়োগ: ১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা: ১৫. অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন: ১৬. ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান: ১৭. মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় শ্রমের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা: ১৮. শিল্প, বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানী খাত আধুনিকায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা: ১৯. জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করিয়া বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন: ২০. প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আধুনিকায়নসহ সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা: ২১. বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা: ২২. শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান: ২৩. আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন: ২৪. নারীর মর্যাদা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ: ২৫. চাহিদা ও জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকানি সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়িয়া তোলা: ২৬. “সবার জন্য স্বাস্থ্য” এই নীতির বাস্তবায়ন করা: ২৭. কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা প্রদানসহ কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা: ২৮. সড়ক, রেল, নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা: ২৯. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নদী শাসন ও খাল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা: ৩০. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সবে ব্যবহার নিশ্চিত করা: ৩১. যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশ বান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয় বাস্তবায়ন। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের এই ৩১-দফা রূপরেখা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯-দফা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপি’র ভিশন-২০৩০ এবং দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত ২৭-দফা কর্মসূচির আলোকে যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংশোধিত ও সম্প্রসারিত রূপে প্রণীত।