যশোরের অভয়নগরে ব্র্যাক এনজিও সিংগাড়ী অফিস ও তালতলা এরিয়া অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাহাজাহান নামের একজন ঋণগ্রহীতাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার ১৩ মে বিকাল আনুঃ ৫ টার সময় উপজেলার শংকরপাশা খেয়াঘাট সংলগ্ন ভুক্তভোগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘটেছে। জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান খানের ছেলে মোঃ শাহাজাহান খান ব্র্যাক এনজিও সিংগাড়ী বাজার শাখা থেকে কয়লার ব্যবসা করার জন্য গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ একবছর মেয়াদি ৭ লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করেন। যা ১২ টি কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার শর্ত থাকে। ভুক্তভোগী শাহাজাহান ৪ টা কিস্তি পরিশোধ করার পর তার ব্যবসায়ীক পাটনার ব্যবসার সমুদয় টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে যায়। ফলে শাহাজাহান পড়ে যায় বিপাকে। তার সহায়সম্বল বলতে গ্রামে ১০ কাঠা জমি আছে। যে কারনে ভুক্তভোগী ওই জমি বিক্রি করে ব্র্যাক অফিসের পাওনা বকেয়া টাকা ডিসেম্বর মাসে এককালীন পরিশোধ করার জন্য ব্র্যাক অফিসের ম্যানেজার বরাবর গত ৫ মে একটি লিখিত আবেদন করেন কিন্তু ব্র্যাক এনজিও অফিসের কর্মকর্তারা লিখিত আবেদনের কোন কর্ণপাত না করে, ভুক্তভোগী ঋণগ্রহীতাকে বিভিন্ন সময় হুমকিসহ নানাভাবে হয়রানি করছে বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, মানুষের সেবাদানের অজুহাতে ব্র্যাক এনজিও গরীব অসহায় মানুষদের হয়রানিসহ নাজেহাল করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী শাহাজাহান বলেন, ১৩ মে মঙ্গলবার বিকালে সিংগাড়ী অফিসের ও তালতলা এরিয়া অফিসের কর্মকর্তারা শংকরপাশা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমাকে এই মুহূর্তে ঋণের সমুদয় টাকা পরিশোধ করতে হবে অন্যথায় পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়, তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে গালিগালাজসহ লাঞ্চিত করতে থাকে, পরে বাজারের লোকজন জড়ো হতে দেখে ঋণের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি ঋণ নিয়েছি যে করে হোক মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পরিশোধ করে দিবো। কিন্তু তাদের অত্যাচারে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এবিষয়ে অভয়নগর সিগাড়ী ব্র্যাক অফিসের ম্যানেজার মহিমা বেগম বলেন, আমরা আবেদন গ্রহন করেছি কিন্তু ওই আবেদন আমরা মানিনা ঋণ দিয়েছি টাকা পরিশোধ করতে হবে। কোন সময় আমরা দিতে পারবোনা। এবিষয়ে অভয়নগর তালতলা ব্র্যাক এনজিও’র এরিয়া ম্যানেজার মোঃ কামাল হোসেন বলেন, আমাদের এনজিও’র এমন কোন নিয়ম নেই, আমরা কোন সময় বাড়াতে পারবোনা ঋণগ্রহীতা শাহাজাহান টাকা নিয়েছে নিয়ম মোতাবেক টাকা পরিশোধ করতে হবে। আমরা সময় দিতে পারবোনা।