রোকনুজ্জামান (রকু) নিজস্ব প্রতিনিধি:
সিরাজগন্জের চৌহালীর যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে বসতভিটা, ফসলি জমি, স্কুল কলেজ খেলার মাঠ ও বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল । ভাঙন রোধে দ্রুত নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে আপদকালীন জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গত তিনদিনে সিরাজগন্জের চৌহালী উপজেলায় কমেছে যমুনা নদীর পানি। এতে খাষকাউলিয়া , খাষপুকুরিয়া ,বাঘুটিয়া , চর সলিমাবাদ ও দেওয়ানগন্জের অনেকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে অন্তত ৫০টি দোকান ও ঘড়বাড়ি ।
হুমকিতে রয়েছে চৌহালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থানা। আলিয়া মাদ্রাসা ,কেকে জোতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , জনতা উচ্চ বিদ্যালয় একটি মসজিদ , একটি বেসরকারি কলেজসহ বাজারের শতাধিক দোকানপাট হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। ভাঙন এলাকা পরির্দশন করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ,চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ও চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা: আফসানা ইয়াসমিন । অবশ্য ভাঙন রোধে আপদকালীন সময়ে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন টাংগাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নুরুজ্জামান ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত একমাসে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, খেলার মাঠসহ অর্ধশতাধিক স্থাপনা এবং দেওয়ানগন্জ বাজারের ৯০ শতাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।চৌহালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন যমুনা প্রতিদিনের প্রতিবেদক কে জানান, ১২০ কোটি টাকার স্থায়ী বেরি বাঁধ বার -বার ধস নামায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে দ্রুত বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ পরে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা: আফসানা ইয়াসমিন বলেন ,উপজেলা রক্ষা বাঁধ ৩ যাগা ভাঙ্গার খবর পেয়ে ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছি৷ তিনি আরো জানান, নদী ভাঙ্গন বেশির ভাগ দেখা দেয় পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় ৷ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি ৷ দ্রুত জিও ব্যাগ ডাম্পিং করবে।