লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের কোয়ান্টাম পাড়া (৭ নং ওয়ার্ড) দিয়ে সরকারী চলাচলের রাস্তা ও খাল ভরাট করে পানি প্রবাহ ব্যাহতের অভিযোগে করেছেন স্থানীয় বাসুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত ফজর আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
এতে অভিযুক্তরা হলেন -একই এলাকার ১.মাসুদ পারভেজ, পিতা -ইউনুচ আলী,২.মোঃ শহিদুল ইসলাম, পিতা -কাদের ফরাজী ৩.সাজেদুল ইসলাম ও ৪ মামুনুল।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ অক্টাবর) লামা উপজেলার সরই কোয়ান্টাম পাড়া এলাকার মৃত ফজল আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫) সাংবাদিকদের জানান, ৩০৩ নং ডলছড়ি মৌজার সরই ইউনিয়নের বাসুরি পাড়া এলাকায় আর/১১১২ ও আর ৯৭৭ হোল্ডিং এর জায়গায় বসতঘর নির্মাণ পূর্বক ১৯৯১ সাল হতে বসবাস করে আসতেছেন আনোয়ার হোসেন পরিবার। তার বাসুরি পাড়ার পাকা রাস্তা হতে অনুমানিক ৩০০ ফুট দুরত্বে উত্তরে মাটির তৈরি ৩টি বসতঘর ও একটি রাবার স্মক ঘর রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোয়ানটাম পাড়া রাস্তা দিয়ে বিগত ৩৫ বছর ধরে এলাকাবাসী যাতায়াত করে আসছিলেন।
গত ৩/৪ বছর আগে আমার বাড়ির দক্ষিণ পাশের ১ম শ্রেনীর নিছু জায়গা অন্যের নিকট হতে ক্রয় করিয়া রাতের অন্ধকারে ডেম্পার দিয়ে মাটি ভরাট করে দেন। মাটি ভরাট করার সময় তিনটি সরকারি কালর্ভাট ও একটি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি স্বাভাবিক গতিপথ হালিয়ে ফেলে। ফলে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। তাদের ইচ্ছামত তৈরি ছোট্ট ড্রেন দিয়ে ঢলের পানি যথাযথভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। ভারী বর্ষণের সময় পাহাড়ি ঢলের পানি জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বসতবাটিতে ঢুকে পড়ে।
সম্প্রতিকালে পানি ঢুকে মাটির দেয়াল ফাটিয়া গিয়াছে যা যে কোন সময় বড় অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। এতে করে আমি পরিবারের ছোট্ট ছেলে ও প্রতিবন্ধী ছেলে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। গত ৩ তিন বছর ধরে এ সমস্যায় দিনাদিপাত করছি। এছাড়াও পানি তলিয়ে যাওয়ার কারনে আমার প্রায় দেড় কানি ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
এর ফলে পানির স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলী মাঠ ও আশেপাশের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় প্রতিবেশি রিফাতুল ইসলাম হ্দয় জানান, এখানে ভারী বৃষ্টি হলে পানিগুলো জমে জলবদ্ধতা হয়। এবং বন্যার পানি বসত বাড়িতে ঢুকে পড়ে মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে মাসুদ পারভেজ বলেন, এটিতো পুরাতন বিষয়। সেখানে অতি ভারী বর্ষণে বন্যা সৃষ্টি হয়৷ এতে আমাদের কিছুই নেই।
এ বিষয়ে স্থানীয় লামার সরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস কোং জানান, নতুনভাবে কালভার্ট হওয়ার ফলে পানি নিস্কাশন ব্যাহত হওয়ায় বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।