দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয দুগোর্ৎসব। সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় চলছে দুর্গাপুজা ব্যাপক প্রস্তুতি। শেষ পর্যায়ে সাজসজ্জার কাজ। দুর্গাপুজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা মুলক ব্যবস্থা। আগামী ৯ অক্টোবর বুধবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবল্বীদের প্রধান ও বৃহৎধর্মীয় উৎসব শারদীয দুর্গাপুজা। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। নাগরপুর উপজেলায় এবার ১২ ইউনিয়নে ১ শত ৩০ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্দিরে চলছে শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির কাজ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে শিল্পীরা কাজ করছেন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ইতোমধ্যে সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির মূল উপাদান মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে গেছে প্রতিমার কাঠামো। চলছে প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোয়ায় পরিস্ফুটিত হচ্ছে দেবী দুর্গা ও তার ছেলে-মেয়ে লক্ষী, স্বর স্বতী, গনেশ ও কার্তিক। প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন, তারা একেকজনে একাধিক প্রতিমা তৈরী করছেন। তবে প্রতিমা তৈরীর আনুষঙ্গিক দ্রব্যের দাম বেশী থাকায় তারা লাভ নিয়ে চিন্তিত। লাভ-লোকসান যাই হোক বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই তারা আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরী করেন। সব কিছু মিলিয়ে উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে চলছে শারদীয় আমেজ।
পুজার আয়োজকরা জানান, পুজার নিরাপত্তা নিয়ে তারা সংকিত নন। অন্য ধর্মের লোক জন তাদের সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে শারদীয দুগোর্ৎসব উদযাপিত হবে বলে তারা আশাবাদী।
নাগরপুর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিব শংকর সূত্রধর বলেন, নাগরপুর উপজেলায় এবার ১২ ইউনিয়নে ১ শত ৩০ মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর ভাবেই আমরা দূর্গাপুজা সমাপ্ত করবো।
নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পুজার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষনিক তদারকি করছে। সাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশে এবার ও শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হবে শারদীয় দুগোর্ৎসব।