পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার পানি নিষ্কাশনের জন্য শতবর্ষী খাল জোরপূর্বক প্রভাশালী আব্দুল মান্নান নামক একব্যক্তি বন্ধ করে দেওয়ায় ৫শ একর জমির রোপনকৃত ধান পানির নিচে ডুবে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে ওই এলাকার ভূক্তভোগি কৃষককেরা পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, চাঁদভা ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া, মাঝবিল,বয়রা মটরবিল,ও সারুটিয়া বিলের ধান এখনও পানির নিচে। বিশেষ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় থৈথৈ করছে পানি।
এ সকল বিল হতে আগে পানি বের হতো, কিন্তুু সমাজের কতিপয় ব্যক্তি তাদের ইচ্ছামত পানি বের হওয়া জায়গা বিভিন্ন ভাবে ভরাট করার ফলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা আর ক্ষতির মুখে পড়ছেন প্রান্তিক চাষিরা।
যে সকল ব্যক্তি বিল বা খালের মুখ বন্ধ করে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি করেছেন তাদের নিকট হতে ক্ষতি আদায়ের দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকে।
দিয়ারপাড়াবিল, মাঝবিল, বয়রামটরবিল, ও সারুটিয়াবিলের ধান চাষের জন্য বরাবরই বিখ্যাত। বৃষ্টির পানি বের হওয়ার জন্য এই বিলের একটি ছোট্ট খাল (ক্যানাল) ছিল। প্রতি বছর বর্ষা হলে ওই ক্যানাল দিয়ে পানি বের হয়ে তা চন্দ্রাবতি নদে পড়ত।
সম্প্রতি ওই খালের মুখে মাটি ফেলে বন্ধ করেছেন প্রভাবশালী মান্নান। যার ফলে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিল ভরে পানি ফুসে উঠেছে।
এই বিলে ধানচাষ করা একাধিক চাষি বলেন, একজন ব্যক্তির কারনে শতশত বিঘার ধান পানির নিচে ডুবে পচে নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষতি কৃষকের কখনও পুরোন হওয়ার নই।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ হোসেন, আমজাদ হোসেন, রজব আলী,মজিদ, জহুরুল ইসলাম, ইন্তাজ আলীসহ অনেকেই বলেন, মান্নান খালের মুখে মাটি ভরাট করে দিয়েছে। যার কারনে বৃষ্টির পানি বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
আমাদের এই বিলে ৫শ একর বিঘা জমির রোপনকৃত ধান পানির নিচে। ওই ব্যক্তির কারণে শতশত কৃষকের ফসল পানির নিচে, ফলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এবছর বিলে রোপা আমন ধান না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসি মনে করছেন, যে সকল ব্যক্তি নিজের স্বার্থ উদ্ধারে হাজারও কৃষকের ক্ষতি করেছে তাদের নিকট হতে ক্ষতিগ্রস্থ্য চাষিদের ক্ষতিপুরোন আদায় করে দেয়া উচিত বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগি কৃষকেরা।