৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ২১ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ভোট শেষে ১৩ জন প্রার্থীই হারালেন তাদের জামানতের টাকা।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে তার জমা দেওয়া টাকা (জামানত) বাজেয়াপ্ত হবে। গত বুধবার দিন উৎসবমুখুর পরিবেশে রাণীনগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী ছিলেন, এর মধ্যে ৬ জন প্রার্থীই তাদের জামানত হারালেন।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ (টেলিফোন প্রতীক), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুজিত চন্দ্র সাহা (ঘোড়া প্রতীক), আওয়ামীলীগ সমর্থক ইয়াকুব আলী প্রামানিক (হেলিকপ্টার প্রতীক), আওয়ামীলীগ সমর্থক মীর মোয়াজ্জেম হোসেন (শালিক প্রতীক), আওয়ামীলীগ সমর্থক গোলাম রাব্বানী (মোটরসাইকেল প্রতীক) ও বিএনপি সমর্থক সরদার মো. আব্দুল মালেক (দোয়াত কলম প্রতীক)।
এ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারালেন। কারণ রাণীনগর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ১৭ জন। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ৯ হাজার ৭৪৩। যা তিনটি পদে মোট ২১ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন প্রার্থীই পাননি।