নাটোরের বড়াইগ্রামে সন্ধা রানী (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর পরে জানা গেলো হত্যা করা হয়েছিল তাকে। মঙ্গলবার হত্যায় জড়িত থাকায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রধান আসামী মাদক মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
নিহত মহিলা উপজেলা কালিকাপুর সনাতন সরকারের স্ত্রী।
গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন, কালিকাপুর গ্রামের পাপ্পু রোজারিওর স্ত্রী সুজনা কোরাইয়া (৬০) ও মেয়ে শিউলী খাতুন (২২)। এই মামলার প্রধান আসামী পাপ্পু রোজারিও মাদক মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, পাপ্পু রোজারিও একজন প্রশিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী। পাপ্পু রোজারিওর সাথে সন্ধা রানীর দীর্ঘদিন যাবত পরকিয়ার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পকের্র কারনে পাপ্পুর স্ত্রীর সাথে প্রায়ই কথা কাটাকাটি সন্ধা রানীর। গত বছরের ৩রা সেপ্টেম্বর বিকেলে কথাকাটির এক পর্যায়ে সন্ধা রানীর মাথায় বাটাম দিয়ে আঘাত করে পাপ্পু রোজারিও। এর পরের দিন মারা যায় সন্ধা রানী। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যা করার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
মামলা তদন্ত কারীর কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, সেই সময় বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হলে সন্ধা রানীর স্বামী সনাতন সরকার বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে হত্যা মামলা করে।
বড়াইগ্রাম থানা পরিদর্শক শাফিউল আযম বলেন, তিনজন আসামীর একজন জেল হাজতে রয়েছেন। বাকিদের বুধবার কোর্টে সপর্দ করা হবে।