মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
একের পর এক হত্যাপ্রচেষ্টা এবং হত্যাপ্রচেষ্টা মামলার আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে যশোরের চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের পরিবার। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে প্রয়োজনে স্বপরিবারে রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এই পরিবারটি। গত বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনে ঘোষনা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কথাও জানিয়েছেন ইব্রাহিম হোসেনের বড় ভাই জাহিদুর রহমান মিলন। সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুর রহমান মিলন বলেন, আমাদের পুরো পরিবার সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
আমার বাবা আবদুল খালেক চৌগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি। আমি নিজে চৌগাছা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই আমার ভাই ইব্রাহিম হোসেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ২১ মামলার আসামী, গোয়েন্দা পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ি শামীম রেজা ওরফে গলাকাটা শামীম আমাদেরকে প্রতিপক্ষ ভেবে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা, অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। লিখিত বক্তব্যে মিলন দাবী করেন সন্ত্রাসী শামীমকে ভয় করেনা এমন কোনো লোক উপজেলাতে নেই। অত্যাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রমান হিসেবে শামীম রেজা ও পারভেজের সকল মামলার কাগজপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মিলন।
তিনি বলেন গালকাটা শামীম শুধু সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেই ক্ষ্যান্ত থাকে না। স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন সন্মানী লোকের সম্বন্ধে বাজে বাজে মন্তব্য করে তাদের সন্মানহানী করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও প্রভাব বজায় রাখতে অর্থ উপার্জনে মাদক ও অস্ত্রের ব্যবসা করে শামীম। শামীমের মাদকের ব্যবসা তার ছোট ভাই ফয়সাল দেখাশোনা করে বলেও জানান তিনি। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে গাল কাটা শামীম বাহিনী একাধিকবার আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে বারবার ব্যর্থ হয় সন্ত্রাসী শামীম। আমার ভায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলায় ভাইকে না পেয়ে আমার বৃদ্ধ বাবাকে মেরে ডান হাত ভেঙ্গে দেয় তারা। জাহিদুর রহমান মিলন বলেন, সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ জুলাই শামীমের নেতৃত্বে বেড়গোবিন্দপুরের পারভেজসহ ১৩ জন সন্ত্রাসী আমার ভাই ও তার বন্ধু মিঠুনের ওপর হামলা চালায়। সে হামলায় শামীমের দায়ের কোপে আমার ভায়ের পায়ের রগ কেটে যায়।
তারা দুজনই বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় আমি মামলা করি। তিনি বলেন, এই মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আমার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে শামীম বাহিনী। আমার পুরো পরিবারটি ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা এই সন্ত্রাসী শামীম,পারভেজসহ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চাই। সংবাদ সন্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিমের বাবা আবদুল খালেক, মা জহুরা বেগম, বোনের ছেলে সজল আহমেদ, প্রতিবেশী মাহিন বিশ্বাস প্রমুখ।