রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

কমলগঞ্জে পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানছে না

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০, ৭:৩২ অপরাহ্ণ

মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমেদ কমলগঞ্জপ্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কোরবানিকে সামনে রেখে পশুর হাট গুলো জমে উঠতে শুরু করেছে। তবে কোন মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। হাটগুলোতে মাক্স, হেন্ডগ্লাবস ছাড়াই ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু ক্রয়-বিক্রয়। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আবার ল্যাম্পি স্কিন নামক গবাদি পশুর নতুন একটি ভাইরাস সারাদেশের কমলগঞ্জ উপজেলায় ও ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরেও হাটগুলোতে পশুগুলোর কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। বাজারগুলোতে নেই কোন পশুর রোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পশু ডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম।

 

শুক্রবার এমন দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার সর্ববৃহৎ পশুর হাট আদমপুর বাজারে। কমলগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৯ জন মানুষ, সুস্থ হয়েছে ৫১জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। অন্যদিকে উপজেলায় ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাসে সহ¯্রাধিক গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২০টি গরুর। তবে এখন এ রোগের প্রকোপ নেই বলে দাবী করছে উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ। গরুর ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গরুগুলোকে কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করা হচ্ছে। মাক্স বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা। কিন্তু তাও নানা অজুহাত দেখিয়ে মানছেন না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি। করোনা ভাইরাসের কারণে ক্রেতা কিছুটা কম হওয়ায় ও গরুর ল্যাম্পিং স্কিন ভাইরাসের কারণে গরুর দাম অনেক কমে গেছে। হাট ইজারাদার ও স্থানীয় সুধী সমাজের প্রতিনিধি কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশু ক্রয়-বিক্রয় করার কথা স্বীকার করে বলছেন, তারা জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচারণা করেছেন।

 

উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেটরাও হাট-বাজারগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনাসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে অনেককে জরিমানাও করছেন। কিন্তু তার পরেও জনগণ তা মানছেন না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: হেদায়েত আলী বলেন, কোরবানির গরুর হাটগুলোতে তাদের মেডিকেল টিম কাজ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা উভয়ে যাতে উপকৃত হয় তার জন্য দু’একদিনের মধ্যে মেডিক্যাল টিম পশুর হাটগুলোতে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হবে। তিনি আরো জানান, কিছুদিন আগে কমলগঞ্জ উপজেলায় ল্যাম্পিং স্কিন ভাইরাসে গবাদি পশু আক্রান্ত হলেও এখন আর এ ভাইরাসটি নেই। গবাদিপশুগুলো সুস্থ আছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একমাত্র ব্যক্তি সচেতনতাই পারে কমলগঞ্জের করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর