মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর:
যশোরে পরিবহন শ্রমিক নেতা রবিউল ইসলাম মিন্টু গাজী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আদালতে পিটিশন মামলা হয়েছে। মিন্টু গাজী বাদী হয়ে বুধবার ৮ জনকে আসামি দিয়ে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই পিটিশন মামলাটি করেছেন। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন পিটিশন মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলো, মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর (ছোট কায়েমখোলা) গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে বর্তমানে যশোর শহরের বকচর হুশতলার গোলাম মোস্তফার বাড়ির ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেন, বকচর হুশতলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রউফ, লাল বাবুর ছেলে ইব্রাহিম খলিল টুলু, রেজাউল ইসলামের ছেলে অনিক, মৃত মোকছেদ আলীর দুই ছেলে নয়ন ও মিলন এবং ইমদাদুল হক শেখের ছেলে এহতেশামুল।
বাদী মিন্টু গাজী পিটিশন মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামিরা এলাকায় মাদক কারবার ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত। তিনি তাদের ওই সকল ঘটনার প্রতিবাদ করলে মিন্টু গাজীকে হুমকি দেয়া হতো। মিন্টু গাজী গত ৪ মে বিকেলে বকচর হুশতলা তিন রাস্তার মোড়ে কামরুলের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে আসামিরা তার ওপর চড়াও হন। এ সময় আব্দুর রউফ ও ইব্রাহিম খলিল টুলু তার দুই হাত ধরে রাখেন। এই সুযোগে আসামি বিল্লাল তার বুকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। আসামি ইমাদুল শেখ তার পকেটে থাকা ৭৫ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়। এরপর আসামি বিল্লাল ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করার পর তারা পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় লিটন ও বাবুল নামে দুই ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসা শেষে থানা মামলা না নেয়ায় আদালতে এই মামলা করেছেন।