আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ-
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া ও আখিরা নদীর উপর নির্মিত বাধের কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছে বাধ সংলগ্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। ১৫ জুলাই(বুধবার) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাইতরবালা, পশ্চিম নয়ানপুর,দিঘলকান্দি ও হোসেনপুর ইউনিয়নের কিসমত চেরেঙ্গা এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানে ধ্বস দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বাধ ভেঙ্গে বন্যায় প্লাবিত হতে পারে কিশোরগাড়ী হোসেনপুর ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রাম। নষ্ট হয়ে যেতে পারে শত-শত একর ফসলাদি জমি ও মাছের ঘের। এলাকাবাসী জানান,বিগত সময়ে কোটি টাকা ব্যয়ে এই বাধটি নির্মান হলেও বাধের উপর দিয়ে কাকড়া (ট্রাক্টর) যাতায়াত, নদী খনন কাজে গাফিলতি, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে বাধটির বিভিন্ন জায়গায় ধ্বস দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি অতি বৃষ্টি পানির তীব্র স্রোতে করতোয়া ও আখিরা নদীর উপর নির্মিত বাধের কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান,বাধ ধ্বসের বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে আপাতত আমরা বালুর বস্তা দিয়ে ধ্বস মোকাবেলার চেষ্টা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছি। উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানান, বাধ ধ্বসের বিষয়ে খবর পেয়ে আমি পরিদর্শন করেছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানিয়েছি। এলাকাবাসীর মতামত, দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে বাধের গুরুত্বপুর্ন স্থানগুলো সংস্কার করা না হলে যে কোন মুহুর্তে বাধ ধ্বসে দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। তাই দ্রুত বাধটি সংস্কার করা হোক।