নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাঙামাটি :
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী, কাপ্তাই, কাউখালি, নানিয়াচর, বাঘাইছড়ি, লংগদু ও সদর উপজেলাসহ খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে অন্য বছরে চাইতে এবার জেলায় লক্ষধীক মেট্রিক টন আম উৎপাদন বেশী হয়েছে তার পরও আম বাগান চাষীরা ভাল নেই।
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা না আসায় ফলে আম চাষীরা তাদের আমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। এতে আম চাষীরা খুবই হতাশ।
রাঙামাটির সদর উপজেলার কুতুকছড়ি এলাকার আম চাষী রাসেল চাকমা সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, এই করোনার মহামারীর কারণে তারা তাদের আম অনেক কম দামে পাইকারী বিক্রেতার কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। রাসেল চাকমা বলেন গত বছর আমরা আম বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা দরে, আর এবার সে আম বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১০-২০ টাকা দরে। আমরা আমে পোকা না আসার জন্য যে কীটনাশক এবং গাছে সার ব্যবহার করেছি ও বাগানের যে পরিচর্যা করেছি তার খরচও উঠে আসেনি কীটনাশক তো একবার ছিটিয়ে দিলে হয় না,৩-৪ বার বা আরো বেশি দিতে হয়। তারা আরো বলেন, বাগানের পরিচর্যার জন্য দৈনিক দুই থেকে তিনজনের শ্রমিক দিয়ে তিন চারদিন লেগে যায়। তাদের জনপ্রতি দৈনিক ৫শত-৬শত টাকা বেতন দেয়া লাগে। তারপর সেই আম বাজারজাত করার জন্য গাড়ি ভাড়া বা বহনের জন্য লেবার নিতে হলে সেদিকে আরেক খরচ পোহাতে হয়। সব মিলিয়ে যেই পরিমাণ টাকা খরচ করা হয় তার অর্ধেক ও উঠে আসেনি। এতে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছি।
আম চাষী রাসেল চাকমা আরো বলেন সরকারী ভাবে যদি আম বাজারজাত করনে আমরা সহযোগিতা পাই, তাহলে আমরা আম ভাল দামে বিক্রি করে লাভবান হয়ে আমরা অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হব।