বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

/ বিজ্ঞান প্রযুক্তি
 ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এবং কেওক্রাডং বাংলাদেশ (কেবি) অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোস্টাল ক্লিনআপ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই দ্বীপ পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগে ৩৫০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়ে ১,৫০০ কেজির অধিক পরিমান সামুদ্রিক বর্জ্য দ্বীপটির সৈকত  থেকে সংগ্রহ করেন, যা পরবর্তীতে মূল ভূখন্ডে নিরাপদে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সংগৃহীত সামুদ্রিক বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- প্লাস্টিকের খাদ্যপণ্যের মোড়ক, প্লাস্টিকের বোতল, বোতলের ক্যাপ, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘ওশান কনজারভেন্সি’ এর বাংলদেশের সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান কেবি বিগত ১৩ বছর ধরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছে। সংস্থাটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ উপদ্বীপ অঞ্চলেও বিগত বছরগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সামুদ্রিক বর্জ্য সম্পর্কে বৈশ্বিক পর্যালোচনা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির সঙ্গে ইউনিলিভার সম্পৃক্ত হওয়ায় ক্যাম্পেইনটি নতুন মাত্রা লাভ করেছে। ইতোপূর্বে এ উদ্যোগে ৫ হাজার ৭ শ’ স্বেচ্ছাসেবী সম্পৃক্ত হয়েছেন এবং তারা এ দ্বীপটি থেকে ২৮ হাজার ৫ শ’ কেজির বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, “২০২০ সাল থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে আমাদের যত পরিমাণ প্লাস্টিকে মোড়কজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে, তারচেয়ে বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করছি। তবে আমরা জানি, প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণ এমন একটি সমস্যা যা একা সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের প্রয়োজন যৌথ উদ্যোগ, যা পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে এবং সেন্ট মার্টিনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক হবে। এ বছর কেওক্রাডং বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট মার্টিন সমুদ্র উপকূল পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে, যেখানে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরির পাশাপাশি আমাদের পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।” ‘ওশান কনজারভেন্সি’ এর ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ এর কান্ট্রি কো–অর্ডিনেটর মুনতাসির মামুন বলেন, “এটি একটি দারুণ বিষয় যে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডেল্টা এবং এখানে বিভিন্ন জায়গায় অসাধারণ কিছু সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে, নানা আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ এই সুন্দর দ্বীপ এবং সৈকতের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা বিশ্বাস করি ইউনিলিভারের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং আমাদের এই অংশীদারিত্ব অন্যদেরও বাংলাদেশে ভালো কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।” বাংলাদেশের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি স্পর্শকাতর চ্যালেঞ্জ হওয়ায় ইউবিএল ভবিষ্যতেও কার্যকরী অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। আরোও পড়ুন...
তরুণদের জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি এবার সি-রিজের নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনতে চলেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। গুজব রয়েছে যে, এই ডিভাইসটিতে রয়েছে টেকসই প্রতিরক্ষামূলক ডিজাইন এবং দারুণ পানিরোধী সক্ষমতা যা
সম্প্রতি  দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘জিটেক্স গ্লোবাল ২০২৪’ প্রদর্শনীতে হুয়াওয়ে এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সম্মিলিতভাবে পাবলিক ইউটিলিটি, পরিবহন, আর্থিক সেবা, বৈদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, খনি, খুচরা ব্যবসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো দশটি খাতের জন্য নতুন সেবা ও ফ্ল্যাগশিপ পণ্য
হুয়াওয়ে সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০২৪ বাংলাদেশ-এর ১০ জন বিজয়ী এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্বে অংশগ্রহণের জন্য চীন সফর শুরু করেছে। এক সপ্তাহব্যাপী এই প্রোগ্রামে তারা ডিজিটাল ট্যালেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের পাশাপাশি
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অসংখ্য মানুষ। ফসল, গবাদি পশু থেকে শুরু করে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও হারিয়েছে অনেক পরিবার। সেরকম কিছু পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। এবছর নিজেদের ত্রাণ কার্যক্রমের
প্রযুক্তি খাতের নারীদের জন্য আয়োজিত হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘উইমেন ইন টেক’-এর তিন বিজয়ী চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বিজয়ীরা ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল এনার্জি এক্সপো (আইডিইই) ২০২৪ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া তারা হুয়াওয়ের প্রধান
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা ৫৭ লাখের বেশি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি অগণিত পরিবারকে করেছে গৃহহীন। দেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক জনগোষ্ঠী হারিয়েছে তাঁদের জীবিকা ও সম্পদ । তবে অনেক
সম্প্রতি ঢাকায় ‘হুয়াওয়ে ক্লাউড সামিট সাউথ এশিয়া ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাতের বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, উদ্ভাবক, ক্লাউড সেবার গ্রাহক ও অন্যান্য সহযোগিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনটিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায়