পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় বিনা হালে রসুন আবাদে কৃষকের বাম্পার ফলন। মাঠ আর মাঠ জুড়ে রয়েছে বিনা হালে রসুন। কৃষাণ কৃষানীরা রসুন ঘরে তুলে ব্যস্ত সয়ম কাটাচ্ছেন।
এবার বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক বইছে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা কোনো চাষ ছাড়াই কাঁদার মধ্যে মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে, বিনা চাষে রসুন আবাদ কৃষকদের কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখন কৃষকরা বিনা চাষে রসুন উৎপাদনে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। কৃষি অফিসও তাদেরকে দিচ্ছেন বিনা চাষে রসুন উৎপাদনে নানান রকম পরামর্শ।
তবে সরেজমিনে কয়রাবাড়ী. সুতিরবিল,্একদন্ত, ল¶ীপুর, দেবোত্তর, মাজপাড়া, চাঁদভা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আটঘরিয়ায় এখন চলছে রসুনের ভরা মৌসুম। বিলের যেদিকে চোখ মেলা যাবে সেদিকেই দেখা যাবে নারী-পুরুষ ও পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেরা-মেয়েরাও মিলে জমিতে লাইন ধরে বসে বসে রসুন তুলতে ব্যস্তসময় পার করছেন।
কৃষক দুলাল মৃর্ধা জানান, এপদ্ধতিতে রসুনের চাষ করলে জমিতে চাষ দেয়া ও কোপানো লাগে না। সার ও ওষুধ কম লাগে। শুধু মাত্র ২টি সেচ দিলেই হয়। লাগানো রসুন ক্ষেতের চেয়ে অনেক বড় বড় গাছ ও রসুন বড় হয়। তার এ পদ্ধতি দেখে অন্যান্যে কৃষকরা তার সহযোগিতা চাইলে তিনি তাদের রসুন সরবরাহ করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দেন।
উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের চাষি খাইরুল ইসলাম ২-৩বিঘা, শামসুল ইসলাম ৩-৪ বিঘা, আলামিন হোসেন ২ বিঘা, আয়েন উদ্দিন ৪ বিঘা, ইউপি সদস আমিরুল ইসলাম ২ বিঘা জমিতে বিনা চাষে রসুন আবাদ করেছেন।
তারা জানান, একবিঘা জমিতে রসুন আবাদ করতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মণ রসুন লাগে। খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর রসুন বিঘায় উৎপাদন হয় ৬০-৭০মণ। সব মিলিয়ে খরচবাদে ভালো টাকা লাভ থাকে বলে তারা জানান। শ্রমিক মিতা রানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা দিন হাজিরি হিসাবে ৩৫০টাকা পেয়ে থাকি। এই টাকা দিয়ে আমরা সংসারে খরচ চালাই।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান,২০২১-০২২অর্থ বছরে ৫হেক্টর জমিতে বিনাচালে রসুন আবাদ হয়েছে। আগাম ধান কাটার পর পর এলাকার কৃষককেরা ইটালী জাতের রসুন ও বারী রসুন-১, বিনা চাষে রসুন চাষ করছে।
#চলনবিলের আলো / আপন