রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :

সলঙ্গায় শীতের শুরুতেই অতিথি পাখির কলতানি

কে,এম আল আমিন, নিজস্ব প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:০৮ অপরাহ্ণ

শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত ঐতিহাসিক একটি বিলের নাম সলঙ্গার বনবাড়ীয়া বিল।যে বিলে বছরের বেশির ভাগ সময় থাকে পানি। বন্যা পরবর্তী রোপা-আমন ধানের আবাদ হয় বিল এলাকা জুড়ে।শীত প্রবণ দেশ থেকে উষ্ণতা আর খাদ্যের খোঁজে প্রতি বছরই শীতের আগমনী বার্তা জানান দিতে আসে অতিথি পাখি।এ সব পাখির কোলাহল আর কলতানিতে প্রাণ ফিরে পায় চিরচেনা বনবাড়ীয়া বিল।ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির ওড়াউড়িতে বিল জুড়ে তৈরি হয়েছে মনমুগ্ধকর পরিবেশ।বনবাড়ীয়া গ্রামের (অব:) শিক্ষক  তোফাজ্জল হোসেন জানান,বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারে বিলে অতিথি পাখির আনাগোনা বেশি দেখা যাচ্ছে।অতিথি পাখির কলতানিতে বিলটি এবার যেন নবরূপে সাড়া ফেলেছে।অনেকেই জানান,সকালের নরম রোদ আর পড়ন্ত বিকেলের লাল আভায় এ সব পাখির ওড়াউড়িতে স্থানীয়দের মনে মানসিক প্রশান্তি আর কর্মরত কৃষকদের মনে ক্লান্তি দূর করছে।এবারের শীত মৌসুমে শুধু বনবাড়ীয়া বিলই নয়,সলঙ্গা থানার উল্লেখযোগ্য বোয়ালিয়া বিল,বাগনী বিল,কচিয়ার বিল,ভুর-ভুরিয়া বিল,বেতুয়ার বিলেও অতিথি পাখির আগমন দেখা যাচ্ছে।সমাজ সেবামূলক সংগঠন “প্রিয় সলঙ্গার গল্প”এর মডারেটর তুষার তালুকদার,নাজমুল হাসান,হারুনসহ অনেকেই জানায়,প্রতি বছরের মত এবারেও বক,গাংচিল,ডাহুক,পানকৌড়ি,চখা- চোখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে এ বিলে।পানি-খাবার ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভেবে প্রতিবছরই বনবাড়ীয়া বিলে অতিথি পাখির আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।অতিথি পাখির আগমন শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না বরং স্থানীয় জীববৈচিত্র সংরক্ষণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।অতিথি পাখি ফসলের ক্ষতিকর পোকা-মাকড় খেয়ে কৃষির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় এসব পাখিরা আমাদের নদী-জলাভূমির খাদ্যচক্রকে সক্রিয় রাখে।যার ফলে পরিবেশ সুস্থ ও টেকসই হয়।তাই এ সব পাখিদের রক্ষা,শিকার রোধ ও বসবাস উপযোগীতা নিশ্চিতে স্থানীয়দের দায়িত্ব বেশি মনে করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর