হিন্দু সেজে বিয়ের চার বছর পর দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী’র কাছে ধরা খেয়ে প্রতারক ইউসুফ আলী ওরফে ইমন ঘোষ এখন কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ গ্রামে।

থানা অফিসার ইন চার্জ মো. গোলাম ছরোয়ার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ঐচারমাঠ গ্রামের মৃত অটল বাড়ৈর মেয়ে তাপসী বাড়ৈর সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে আট বছর আগে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার তারালিয়া গ্রামের কুরুশ মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলী নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে ইমন ঘোষ পরিচয়ে হিন্দু রীতি অনুযায়ি বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে ইমন তাপসীর বাবার বাড়ি থেকেই রাজ মিস্ত্রীর কাজ করে তাপসীর সাথে ঘর সংসার করে আসছিলো। তাদের দাম্পত্য জীবনে অপূর্ব নামে চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। সন্তান হবার পর থেকে ইমন উধাও হয়ে যায়।

এই সময়ের মধ্যে গত চার বছর আগে প্রথম স্ত্রী তাপসীর বিনা অনুমতিতে প্রতারক ইউসুফ পূর্বের মতো নিজের পরিচয় ও ধর্ম গোপন রেখে একইভাবে ইমন ঘোষ পরিচয়ে একই ইউনিয়নের তালতারমাঠ গ্রামের অতুল বেপারীর মেয়ে বৃষ্টি বেপারীর সাথে সম্পর্ক করে তাকে বিয়ে করে পাশ্ববর্তি উজিরপুর উপজেরার সাতলা গ্রামের সুপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের বাড়িতে ভারাটিয়া হিসেবে দ্বিতীয় স্ত্রী বৃষ্টির সাথে বসবাস শুরু করে।
বুধবার সকালে ইউসুফের প্রতারনার জাড়িজুড়ি ফাঁস হলে তাপসী বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। এসআই শফিউল ইসলাম প্রতারক ইউসুফকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঘ টনায় প্রথম স্ত্রী তাপসী বাড়ৈ বাদী হয়ে প্রতারক ইউসুফ মিয়া ওরফে ইমন ঘোষের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে মামলা দায়ের করে। পুলিশ ওই মামলায় আটক ইউসুফ ওরফে ইমনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল আদালতে প্রেরণ করেছে।

CBALO/আপন ইসলাম