শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে জকিগঞ্জে এইচসিআই’র উদ্যোগে আধুনিক মাদরাসার উদ্বোধন ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শোকজ ঘিরে বিতর্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ওসিকে প্রত্যারের দাবিতে সাংবাদিকদের  মানববন্ধন লামায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট অভিযান 

আটঘরিয়ায় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ফোনে নারীকে কু-প্রস্তাব এলাকায় সমালোচনার ঝড়

পাবনা প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ণ

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ড নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও অশোভন আচরণ, নারীকে ফোনে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতি কার্ডে দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ নেওয়া হচ্ছিল। এ নিয়ে একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভাইরাল হওয়া ওই অডিওতে শোনা যায়, এক নারীর সঙ্গে ফোনালাপে জামায়াত নেতা পলাশ শুধুমাত্র টাকা নয়, বরং কূ-প্রস্তাবও দেন। এ ঘটনায় দেবোত্তর ইউনিয়নসহ পুরো আটঘরিয়া উপজেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষ এমন অনৈতিক ও দায়িত্বহীন আচরণে হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেেেছন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত আকরাম হোসেন পলাশ দেবোত্তর ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক। তিনি শ্রীকান্তপুর গ্রামের মো: আলাউদ্দিন খানের ছেলে এবং পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও আটঘরিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহুরুল ইসলাম খানের ভাতিজা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন জামায়াত নেতা আকরাম হোসেন পলাশ বলেন, বিষয়টি ভিত্তিহীন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালনা হচ্ছে।
দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রতন মোল্লা বলেন, দেবোত্তর ইউনিয়নে মোট ৩শ ৪০টি ভিডব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুপারিশ্ক্রমে জামায়াত নেতাদের ১৮টি কার্ড দেওয়া হয়। পরে তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন।
আটঘরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রামকৃঞ্চ পাল বলেন, কেউ যদি এই কার্ডে দূণীতি করে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি, এ ধরনের দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন দুর্নীতিপরায়ণ ও অশোভন আচরণ সমাজের জন্য হুমকি। তারা প্রশাসনের কাছে ঘটনার তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর