পাবনা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও পাবনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খান্দকার বলেছেন, দেশের ক্রান্তিকালে বার বার জিয়াউর রহমান জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হতে পাকিস্তানের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চালান। ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার ঘোষনা না দিয়েই তিনি স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হন। এমন অবস্থায় জাতি যখন দিশেহারা ঠিক তখনই চট্রগ্রামে মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করেন এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। এরপর তিনি মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক।

তিনি বলেন ১৯৭৫ সালে জিয়াকে বন্দি করা হলে সেপাহীজনতার বিপ্লবে তিনি মুক্ত হয়ে দেশের ক্রান্তিকালে আবার জনগণের পাশে এসে দাঁড়িছেলেন। বাকশালী একদলীয় শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে বাংলাদেশে জিয়াই বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি। এ ইতিহাস সবারই জানা। একই ভাবে খালেদা-জিয়ার সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমান বিদেশে থেকেও দেশের ক্রান্তিকালে নেতৃত্ব দিয়ে প্রমাণ করেছেন আগামীর বাংলাদেশ তাদের হাতেই নিরাপদ।

শনিবার (২৯ মার্চ )পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী অনার্স কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দেশের সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার উক্ত কথাগুলো বলেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা, পৌর বিএনপি’র ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক নুর মুজাহিদ স্বপন। বিএনপি’র সদস্য সচিব প্রভাষক জাফর ইকবাল হিরোক এর সঞ্চালনায় এতে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, যুগ্ন আহবায়ক নুরুল ইসলাম বরাত, আবু হেনা মোস্তফা কামাল রেজা, আলতাব হোসেন খান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাইদুল ইসলাম বুরুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেন, কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আখিরুজ্জামান মাসুম, যুবদলের আহবায়ক মোঃ ফরিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোঃ হুমায়ুন কবির, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হুমায়ুন আহমেদ মুন ও সদস্য সচিব মোঃ লিখন সরকার প্রমুখ।

অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকার তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দিয়ে সাত বছর জেলে রেখে মৃত্যূর মুখে ঠেলে দেন। নির্দোষ তারেক রহমানকে নির্যাতন নিষ্পেষন করে দেশান্তরী করেন। ফ্যাসিবাদিরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের নাম নিশানা মুছে ফেলার যে ষড়যন্ত্র করেছিল তা সফল হয়নি। মহান আল্লাহ পাকের কৃপায় জাতীয়তাবাদি শক্তি তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে আবার জেগে উঠেছে বিএনপি। তিনি বলেন,শিগগিরই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। সেই অপেক্ষায় বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ অপেক্ষায় রয়েছেন।

এর আগে অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মোজাম্মেল হক মোজাম ও সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ওয়াজ উদ্দীনের নেতৃত্বে প্রায় এক থেকে দেড়শ মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে মাসুদ খন্দকার কে চাটমোহরের থেকে ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দেশের সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে নিয়ে আসেন।

ইফতার মাহফিলে চাটমোহর উপজেলা বিএনপি’র নেতা রবিউল করিম তারেক সহ দলীয় নেতাকর্মী , ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপি’র পৌর বিএনপি’র ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।