নাম রনজিনা খাতুন। ৩য় মায়ের সন্তান। আর মিনারুল ২য় মায়ের সন্তান। উভয় পিতা মৃত দলিল উদ্দিন। সৎ বোন হিসেবে অস্বীকার করছেন মিনারুল। কিন্তু পিতার পৈতিক সম্পতির অংশিদার থেকে রনজিনা খাতুনকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছেন অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাই মিনারুলের বিরুদ্ধে। তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রনজিনা খাতুন। এমন একটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাঐখোলা গ্রামে। এই ঘটনাটি বাঐখোলা গ্রামে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
উপজেলার বাাঐখোলা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরকে কেন্দ্র করে সৎ ভাই মিনারুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তয় মায়ের সন্তান রনজিনা খাতুন। বাবার অংশিদার থেকে রনজিনা খাতুনকে বঞ্চিত করার নানান তালবাহানা শুরু করেছেন মিনারুল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাঐখোলা গ্রামের মৃত-দলিল উদ্দিনের ৩য় স্ত্রীর সন্তান রনজিনা খাতুন (২৩) এর সাথে বিয়ে হয় একই গ্রামের রমিজ উদ্দিনের ছেলে আলামিন হোসেন রব্বেল এর সাথে। দীর্ঘ ৬-৮বছরের সংসার জীবনে তাদের সংসারে একটি সন্ত্রান লাভ করেন। রনজিনা খাতুনের বাবা জীবিত থাকা অবস্থায় বাঐখোলা মৌজায় ২০ শতাংশ জমি মেয়ে রনজিনা খাতুনকে মৌখিক ভাবে বসত বাড়ী করার জন্য দিয়ে যায়।
রনজিনা খাতুনের বাবা দলিল উদ্দিন ১বছর আগে মারা যাবার পর থেকে সৎ ভাই মিনারুল ৩য় মায়ের সন্তান রনজিনা খাতুনকে বিভিন্ন ভাবে অমানুষিক নির্যাতন ও অত্যাচার করতে থাকে এবং তাকে বোন হিসেবে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে শুক্রবার (২১জানুয়ারি) ওই জমির উপর রনজিনা খাতুন বসবাস করার জন্য একটি টিনে ঘর তুলেন। এসময় রনজিনা খাতুন বাধা সৃষ্টি করে ভয়ভীতি দেখায় মিনারুল।
এব্যাপারে কথা হয় রনজিনা খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, আমার বাবার পৈতিক সম্পতি। সেই হিসেবে বাবার রওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক আমি। আজ থকে ৫-৬ বছর আগে আমার বাবা আমাকে বসত করার জন্য দিয়ে গেছে। আমি এই জমির উপর আবাদ করে খাচ্ছিলাম। এখন আমি ঘর তুলে থাকতে চাই। আমার সৎ ভাই মিনারুল আমাকে ঘর তুলতে দিচ্ছে না বাধা সৃষ্টি করছে। আমার সৎ ভাই মিনারুল বিভিন্ন ধরনের হয়রানী করছে। সে বলে আমি ওয়ারিশ না। এবং টাকা দিয়ে মান্তান ভাড়া করে আমাকে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে।
#চলনবিলের আলো / আপন