পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পরপর ৩বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ৫৮ বছর বয়সী প্রবীণ সাদামাঠা জীবন যাপন কারি জাহাঙ্গীর আলম মধু,পর পর ৩বার ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেও বর্তমানে তিনি অনেকটাই রিক্ত ও নিঃশ্ব। তবুও জনতার গণদাবীর ফলে আবারো ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষণা দেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে ভেড়ামারা বাজারে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করে আসন্ন পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে আবারো নির্বাচন করার ঘোষণ দেন। তিনি উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর বড় ছেলে।
জানা গেছে, ১৯৬৩ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়া গ্রামে আওয়ামী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি ও তার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন। ১৯৮১ সালে নারায়গঞ্জ তুলারাম কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং তিনি ওই কলেজের জিএস ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন শাখার পরপর ২বার সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্র্যন্ত পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের আওয়ামী সমর্থক হিসেবে একটানা ৩ বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচন করে ৩ বারই নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার ছোট মোঃ আব্দুল খালেক ভাঙ্গুড়া হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের জি,এস হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন কালে ২০১৩ সালের পার্শ্ববর্তী এলাকার সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই সকল সন্ত্রাসী আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১১ই জানুয়ারীতে হাটগ্রাম খেলার মাঠে সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে ২০০পিচ রঙ্গিন লাঠি যুব সমাজের মধ্যে বিতরণ করেন, সন্ত্রাসী দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশা পাশি শান্তি রক্ষায় তার নেতৃত্বে স্থানীয় দামাল ছেলেরা বিশেষ ভুমিকা পালন করেছিলেন। সন্ত্রাস দমনে সেই সময় তিনি ব্যাপক গণ জোয়ার সৃষ্টি করেছিল। তিনি স্থানীয় সংসদ ও ভুমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় মাঠ পর্যায়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলে বর্তমানে ওই এলাকা সন্ত্রাস মুক্ত।

তিনি আবারো নির্বাচিত হলে আলহাজ্ব মোঃ মকবুল হোসেন এম পির নেতৃত্বে হাটগ্রাম সেনালী সৈকত ও দীঘির ভিটাকে পর্যাটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি যুব সমাজের জন্য তিনি আউটডোর খেলার জন্য পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের সুবিধামতো স্থানে সকলের সহযোগিতায় খেলার মাঠও নির্মাণের পরিকল্পনা আছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।

এসময় মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মধূ বলেন, সম্প্রতি সময়ে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে প্রায় ৯৫টি গরু চুরিসহ স্থানীয় জনতার কিছু সমস্যার কারণে ইউনিয়নবাসীর গণদাবীর ফলে তিনি আবারো নৌকা প্রতীক প্রত্যাশা করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তিনি একজন ত্যাগি ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে দলের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকেই নৌকা প্রতীক দিবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।

#চলনবিলের আলো / আপন