সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
ভাঙ্গুড়ায় রাতের আঁধারে গাছ কেটে ফেলল দুর্বৃত্তরা অভয়নগরে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে মাঠভরা হলুদ, সরিষার ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা; কৃষকের মুখে হাসি সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম  দুর্ভোগে পথচারীরা বাগেরহাটে উন্নত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ ও ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা উদ্ভোধন সাতক্ষীরায় সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় ৪ দিন অতিবাহিত,আটক হয়নি সন্ত্রাসী রমজান বাহিনীর প্রধান দৌলতপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন  অভয়নগরে সাবেক চেয়ারম্যান কামাল গ্রেফতার “ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ’”

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ আব্দুল মান্নান (রানা)’র নির্বাচনী ইশতেহার

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:১৭ অপরাহ্ণ

রাঙামাটি পৌরসভা সাধারন নির্বাচন-২০২১ এর
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী
মোঃ আব্দুল মান্নান (রানা)’র নির্বাচনী ইশতেহার
প্রিয় রাঙামাটি পৌরবাসী,
সকলের প্রতি স্বশ্রদ্ধ সালাম, আদাব ও নমস্কার।
আপনারা নিশ্চয় জানেন, আমি ও আমার পার্টি বিশ্বাস করে পাহাড়ের জনগণ শান্তিতে বসবাস করুক। নিশ্চয়তা বিধান করা হোক তাদের জানমালের ও সম্পদের। এই বিষয়টিও নিশ্চয়তা বিধান করতে পারেনি বর্তামান সরকার। বিগত ২৩ বছরে চুক্তি পরবর্তী সময়ে এই অঞ্চলে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি, প্রতিনিয়তঃ খুন, গুম, দুর্বৃত্তায়ন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। মানুষ এখন এসব থেকে মুক্তি পেতে চায়। রাঙামাটি পৌরসভার সাধারন জনগণ তাদের ভোটের ও ভাতের অধিকার ফিরে পেতে চায়। চায় পরিবর্তন।
প্রিয় রাঙামাটি পৌরবাসী,
মহামারী করোনা ভাইরাস-সহ নানা ঘটনা দুর্ঘটনার পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বহু প্রত্যাশিত রাঙামাটি পৌরসভার সাধারন নির্বাচন-২০২১। রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার জনগণের আশা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকারের মেয়রের অপশাসনের অবসান হবে এবং রাঙামাটি পৌরসভা গণতান্ত্রিক ধারায় অগ্রযাত্রা শুরু করবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার রাঙামাটি পৌরসভায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন কালো টাকা, পেশিশক্তি, ভুমি দখলবাজ, সন্ত্রাসী মাফিয়া, দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত ও অতিরিক্ত ক্ষমতালোভীদের কারণে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পরিবেশ অনুপস্থিত। রাঙামাটি পৌসভায় অবাধ নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হয়নি।
অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়, গত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ডাকাতরা স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদে এখনো বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে, এছাড়া টাকার খেলা, পেশিশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মের ব্যবহার, অবৈধ পন্থায় প্রভাব বিস্তার, নানা ধরনের অপকৌশল বন্ধ হয়নি। কোটি টাকা ওয়ালা, পৌর মার্কেট নির্মানের কথা বলে চিহ্নিত ভুমিদস্য, শিশুদের বলাৎকারকারী, নারী কেলেঙ্কারিবাজ, দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার কারণে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, দুর্বৃত্তদের বড় অংশ ইতোমধ্যে রাজনৈতিকভাবে পূনর্বাসিত হয়ে কালো টাকার জোরে আবার নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়ছে। একদিকে বর্তমান মহাজোট সরকারের অপশাসন আর অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ক্ষমতাসীনরা আবার জনগণকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করছে।
প্রিয় রাঙামাটি পৌরবাসী,
আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে যে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের সাথে বাম গনতান্ত্রিক জোট, ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্ট, ইসলামিক দল ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জোটগুলো সংলাপে এমন পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলেছিলো যাতে বিভিন্ন দলের এবং মেহনতি মানুষ, সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তিরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন ও বিজয়ী হতে পারেন। কিন্তু আসল কাজ কিছুই হয়নি, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করা এবং সেই ভোটকে বৈধতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার সকল ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা হারিয়েছে।
এ নির্বাচন কমিশন শুধু মাত্র তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি। তারা নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে যা ইতোমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা বক্তৃতা না দিয়ে বক্তা হিসেবে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি। একজন নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এসব আমলে না নিয়ে উল্টো এই সরকার তাদের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে পৌর নির্বাচনী তফশীল ঘোষনা করেন। এই কারণে নির্বাচনের বর্তমান ব্যাবস্থায় শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, বিভিন্ন পেশাজীবিসহ সমাজের ভাল ও যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ও জয়ী হওয়ার সুযোগ ক্ষীণ।
দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ করে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি পাঠানোর ঘটনাকে কমিশন সম্পর্কে দেশের জনগণের পুঞ্জিভূত অভিযোগের বহিঃ প্রকাশ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন ইসি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়াসহ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যেভাবে নষ্ট করে দিয়েছে তার কোন দ্বিতীয় নজির নেই।
অভিযোগের তদন্তে নাগরিকবৃন্দ সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার যে দাবি রাষ্ট্রপতির নিকট জানিয়েছেন তাও রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রশাসনে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত নির্বাচনের বর্তমান ব্যাবস্থা লোক দেখানো ছাড়া দৃশ্যমান কোন গণপ্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা গড়ে উঠেনি।
প্রিয় রাঙামাটি পৌরবাসী,
আপনারা নিশ্চয় একমত হবেন যে, নির্বাচন মানে গণতন্ত্র নয়। এ পর্যন্ত অনেকবার রাঙামাটি পৌর নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু তাতে রাঙামাটি পৌরসভায় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা জোড়দার হয়নি। শোষণ-লুন্টনভিত্তিক দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের পুঁজিবাদী ব্যাবস্থা বহাল রেখে কেবল নির্বাচন হলেই জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার বা পৌরসভা প্রশাসন কায়েম হবে না। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধনী-গরীবের আকাশ পাতাল বৈষম্য তথা সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার আসল কারণও এই দুর্বৃত্তায়িত ব্যাবস্থা। শাসক শ্রেনীর বিভিন্ন মার্কার রাজনৈতিক দলসমূহ এই লুটেরা পুঁজিবাদী ব্যাবস্থাকেই নানাভাবে টিকিয়ে রেখেছে, তাকে প্রতিনিধিত্ব করছে। আমাদের পশ্চাৎপদতা অনুন্নয়নের জন্য এরাই দায়ী। শাসক শ্রেণীর এই সমস্ত দলগুলোর আদর্শ ও নীতিহীন রাজনীতির কারণে সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ, ফ্যাসিবাদী শক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও সৈরতন্ত্রীরা রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে। ধর্মকে এরা রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করছে, ধর্মীয় জঙ্গীবাদ উত্থানের ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছে। এবারও ভোটের রাজনীতিতে এদেরকে কাজে লাগানো হচ্ছে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট আর লুটেরা পুঁজিপতিরা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলাবাজ শাসকশ্রেণী এই সব দলের সাথেই যুক্ত। অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকারের এরা গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। পাকিস্তানী বিহারিদের ফেলে যাওয়া সম্পদ দখল করে, বিদেশে অর্থ পাচার করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। রাঙামাটি পৌরসভার মানুষকে কার্য্যত; এরা জিম্মি করে রেখেছে। এই লুটেরা ধনীকশ্রেণী ও তাদের দলসমূহকে ক্ষমতা থেকে বিদায় দেওয়া ছাড়া এ অবস্থার অবসান ঘটানো যাবে না; রাঙামাটি পৌরবাসী মুক্তি পাবে না।
প্রিয় রাঙামাটি পৌরবাসী,
বর্তমান অবস্থায় ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাঙামাটি পৌরসভায় হয়ত একটি নির্বাচিত পৌর প্রশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে; কিন্তু তাতে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থা কায়েম হবে না। এ অবস্থার আমুল পরিবর্তনে প্রয়োজন রাঙামাটি পৌরসভায় শ্রমজীবি-মেহনতি মানুষসহ জনগণের সম্মিলিত ও সর্বাত্বক উদ্যোগ, গণসংগ্রাম-গণবিপ্লব, রাঙামাটির পৌরবাসীর মৌলিক গণতান্ত্রিক পরিবর্তন; যার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হবে বৈষম্যহীন, শোষণ-বঞ্চনাহীন ও দমন-নিপীড়নহীন একটি গণতান্ত্রিক শক্তিশালী স্থানীয় পৌরসভা।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পরিবর্তনের আখাংকাকে ধারন করে তাকে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নিয়ে আমাকে রাঙামাটি পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছেন।
রাঙামাটি পৌরসভা সাধারন নির্বাচনে আমার অঙ্গীকার সমূহের প্রধান বিষয় সমূহ নি¤œরূপঃ
১। রাঙামাটি শহরের বনরুপা বাজারের সমতাঘাটে পাঁকা সিঁড়ি নির্মান, সমতাঘাট থেকে কাপ্তাই হৃদের পাড় দিয়ে পাকা সড়ক নির্মান করে বনরুপা স-মিল সড়কের সাথে যুক্ত করা এবং সকল যানসহ জনসাধারনের যানজট মুক্ত এক মুখি যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি করন, রাঙামাটি পৌর এলাকার সকল রাস্তা প্রসস্থ করে চার লেনে সড়কের সাথে যুক্ত করন, রাঙামাটিতে নৌ পথে পর্যটকসহ চলাচলকারীদের জন্য রিজার্ভবাজার, তবলছড়িবাজার, ফিসারী এলাকায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায়, ডিয়ার পার্ক এলাকায় ও রাজবাড়ি শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় পাকা ঘাট বা সিড়ি নির্মান করন, রাঙামাটি পৌরবাসীর জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করন, রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার মধ্যে থাকা কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং এর মাধ্যমে নদীর তলদেশ খনন করে রাঙামাটি পৌর এলাকা থেকে প্রত্যন্ত উপজেলায় নৌ-পথে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তা সুগম করা ও ফিসারী বাঁধ এলাকার মধ্যে কাপ্তাই হ্রদ ভিত্তিক পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা এবং রাঙামাটি পৌর স্থল বন্দর নির্মাণ করা।
২। রাঙামাটি পৌরবাসীর ভোক্তাধীকার রক্ষা করা, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি প্রতিরোধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা।
৩। রাঙামাটি পৌর এলাকায় বে-আইনিভাবে ভুমি দখল প্রতিরোধ, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন ও সর্বক্ষেত্রে দলীয়করন বন্ধ করা এবং জুয়াড়ী ও মাদক মুক্ত পৌরসভা গড়া আমার অন্যতম অঙ্গীকার।
৪। পৌর এলাকায় যুব সমাজের কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও রাঙামাটি পৌবাসীর দারিদ্রের অবসান ঘটানো।
৫। রাঙামাটি পৌর এলাকায় কৃষক, শ্রমিক-খেতমজুর ও কৃষি খাতের অগ্রাধীকার প্রদান করা এবং পৌর এলাকার চাষাবাদ যোগ্য জমির ফসল বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষক-মালিকদের নিয়ে যৌথ প্রকল্প গ্রহন করা।
৬। রাঙামাটি পৌর এলাকার মধ্যে যে সকল আসবাবপত্র তৈরী কারখানা রয়েছে সে সকল কারখানার মালিক এবং শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে রাঙমাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে জমি বরাদ্ধ দিয়ে আসবাব পত্র নির্মান ক্ষুদ্র শিল্প এলাকা নির্মান করা ও রাঙামাটি পৌসভায় শিল্পখাতে বিকাশ সাধন করা।
৭। ১৯৯৬ সালে রাঙামাটি পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত আলুটিলা উলুছড়ি পৌর বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধুনিকায়ন, এছাড়া পৌর এলাকায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, স্বাস্থ্য সেবাসহ সামাজিক খাতসমূহকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা।
৮। রাঙামাটি পৌর এলাকার পুরাতন রাঙামাটি টু কুতুকছড়ি কাউন্সিল রোড (বর্তমান আরশিনগর পুলিশ ক্যাম্প সড়ক) দিয়ে পাঁকা সড়ক নির্মান করে স্বর্গপুর ভাবনা কেন্দ্র, মোষমারা-নোয়াআদাম, কাটাছড়ি, আলুটিলা ও উলুছড়া এলাকায় বসবাসরত জনসাধারনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন করা।
৯। রাঙামাটি পৌর এলাকায় নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। পাহাড়ী-বাঙালী, সংখ্যালঘু জাতিসত্বা, সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা।
১০। রাঙামাটি পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যালয় স্থাপন, রাঙামাটি পৌর প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা ও পৌর নাগরিকদের পৌরসভার সকল সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং প্রতি ৩ মাস পর-পর পৌর এলাকার নাগরিকদের নিয়ে গণ শুনানী করা। এছাড়া পৌরবাসীর জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কবরস্থান ও শ্মশান এর জায়গা বরদ্ধ করন, মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন, বিজ্ঞান ভিত্তিক আইসিটি পার্ক, গণমঞ্চ, থিয়েটার ও বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা।
১১। রাঙামাটি পৌর এলাকার মধ্যে মুল সড়কের ফুতপাত এর পাশে খালি জায়গায় ড্রেন নির্মান করে বাকি অংশ পাকা করা, শহরের জনবহুল এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মান করা, রাঙামাটি শহরের একমাত্র রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের বর্জ্য অপসারণ, পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা করা এবং শহরের সকল সংযোগ সড়কসহ পৌর এলাকার পয়নিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১২। রাঙামাটি পৌরসভায় জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা, স্থানীয় স্বার্থে অর্থনৈতিক নীতি প্রনয়ন, গণতান্ত্রিক অধিকার, স্বায়িত্বশাসিত ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সমুন্নত রাখা ।
১৩। রাঙামাটি পৌর এলাকায় যে কোন ধরনের মহামারী, প্রকৃতি-পরিবেশের ভারসাম্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ গ্রহন করা। রাঙামাটি শহরকে সবুজায়নের পদক্ষেপ গ্রহন করা।
১৪। রাঙামাটি পৌর এলাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়ে জনসাধারনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আমি মেয়র নির্বাচিত হলে রাঙামাটি শহরজুড়ে ‘ফ্রি’ ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
১৫। সরকারের সকল উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে পৌর মেয়র হিসাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এবং রাঙামাটি পৌরসভায় গ্যাস সংযোগ স্থাপন করন এছাড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কর্মহীন নিন্ম আয়ের পৌর নাগরিকদের পৌরকর হ্রাস করা।
১৬। ডিজিটাল রাঙামাটি পৌরসভা গড়ার লক্ষ্যে “হ্যালো মেয়র” আ্যাপস্ তৈরীর মাধ্যমে রাঙামাটি পৌরসভার নাগরিক সেবা চালু করে দ্রুত নাগরিকদের সমস্যা সমাধান করা এবং দলমত,ধর্ম,বর্ণ সম্প্রদায় নির্বিশেষে রাঙামাটি পৌরবাসীর সকল প্রকার বিপদে আপদে নিজের মোবাইল ফোনটি সচল রেখে (কল রিসিভ করে) জনগণের সমস্যার কথা শুনে পৌর জনপ্রতিনিধি হিসাবে অবশ্যই সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর।
১৭। রাঙামাটি শহরে জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় দিন-রাত গবাদি পশু চলাচল বন্ধ করাসহ ভবঘুরে কুকুর নিধন না করে প্রতি মৌসুমে টিকা প্রয়োগ ও মশা নিধন কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।
১৮। রাঙামাটি শহরের যত্র-তত মোড়ে মোড়ে স্থাপিত ডাষ্টবিন অপসারন করে রাঙামাটি পৌর নাগরিকদের দুর্গন্ধমুক্ত, পরিছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত শহর গড়ার লক্ষ্যে বিশ্বের উন্নত শহর গুলোর ন্যায় রাত ১০টা থেকে শুরু করে ভোর ৫টার ভিতর সরকারী, বে-সরকারী অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা বাড়িরসহ শহরের রাস্তা-ঘাটের সকল ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য পরিস্কার করার শতভাগ অঙ্গিকার করছি।
১৯। রাঙমাটি পৌর এলাকায় বসবাসরত শিক্ষার্থীদের জন্য রাঙামাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে নাম মাত্র খরচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্কুলবাস চালুর ব্যবস্থা করা। এছাড়া স্থানীয় যুবক-যুবতিদের সমন্বয়ে পৌরসভার আয়ের উৎস থেকে সমবায় ভিত্তিক হস্তশিল্প গড়ে তুলে বেকারত্ব দুরিকরণ।
২০। রাঙামাটি পৌর এলাকায় আধুনিক টেকসই পরিবেশ বান্ধব স্মার্ট এলইডি সড়ক বাতি (প্রতি বাতি ১০ বছর মেয়াদী) স্থাপনের মাধ্যমে রাঙামাটি শহরের পৌর এলাকাকে আলোকিত ও আধুনিক শহরে পরিনত করা।
পৌরপিতা নয়, পৌরবাসীর সেবক হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসাবে আসন্ন রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে আমাকে কোদাল মার্কায় ভোট দিয়ে রাঙামাটি পৌরবাসীর সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি রাঙামাটি পৌরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
সকলের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।
মোঃ আব্দুল মান্নান (রানা)
রাঙামাটি পৌরসভা সাধারন নির্বাচন- ২০২১
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এর
রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র পদপ্রার্থী।
প্রচারনায়: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাঙামাটি শহর (পৌর) কমিটি, ২৭ জানুয়ারি-২০২১।
মোবাইল নং- ০১৬৮৩২৪৯৫৪১, ই-মেইল : rngbiplobiworkersparty@gmail.com

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর