বেলাল হোসাইন,রামগড়,খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পর্যটক বহনকারী বাস উল্টে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
দুর্ঘটনার পরপরই আহতদেরকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে ছয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৫৪ জন পর্যটক নিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে নজরুল ট্রাভেলসের (গাড়ি নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৪৫৯) একটি বাস। বাসটি মাটিরাঙ্গার সাপমারা পুলিশ চেকপোস্ট অতিক্রম করে পাহাড়ে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
চালক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গাড়িটি উল্টে যায়। একটি বৈদ্যুতিক পিলার ও পাহাড়ের সাথে আটকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও গাড়িতে থাকা পর্যটকরা অধিকাংশই মারাত্মকভাবে আহত হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে।
গাড়িতে থাকা পর্যটক জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহাদী বলেন, ছুটি ট্যুরিজমের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আমরা ৫৪ জন সাজেক ভ্রমণে এসেছিলাম। সোমবার (২ নভেম্বর) রাতে সাজেকে রাত্রিযাপন শেষে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করে মঙ্গলবার রাতে আমরা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা ফিরছিলাম।
আমাদের বহনকারী বাসটি খাগড়াছড়ি শহর থেকে ছেড়ে কিছুদূর আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বৈদ্যুতিক পিলারের কারণেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আহতদের সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আলী জানান, সাজেক থেকে ঢাকায় ফেরার সময় ৩০ জন পর্যটক গুরুতর আহত হয়। এসময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।গুরুতর আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাজেক দেখতে এসে গাড়ি উল্টে গুরুতর আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষার্থী