পাবনার ফরিদপুরে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে মিমাংসিত সম্পত্তি জোর করে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এসময় বাধা দেয়ায় সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে মুমূর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। রবিবার দুপুরে সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাছ পুংগুলী ইউনিয়নের আগ পুংগুলী (নারানপুর) গ্রামের মাসুদ গং ও ইব্রাহিম গংদের মাঝে।
এবিষয়ে ইব্রাহিম গ্রুপের আইয়ুব আলী বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে মাসুদ গাংদের অভিযুক্ত করে ফরিদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোমবার ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সংঘর্ষে আহত চিকিৎসাধীন আল ইমরান, খোদাবক্স সরকার, শামীম হোসেন সহ অন্যান্যদের সাথে কথা হয়। এসম আহত খোদাবক্স জানান, আমাদের মিমাংসিত দখলীয় পৌত্তিক বাগান বাড়ী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রতিবেশী মাসুদ, ফারুক, বজলু, শাহীন, মানিক ও সোহেল গংরা জোর পুর্বক দখল করে ঘর নির্মান করতে আসেন।
এসময় তাদেরকে আপস মিমাংসা ছাড়া অবৈধভাবে ঘর নির্মান না করার অনুরোধ জানালে এক পর্যায়ে তারা আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আক্রমন চালিয়ে আমি সহ আল ইমরান, শামীম হোসেন, হালিম, আলতাফুন্নাহার, আতাউর এবং অন্যান্যদের মারাত্মক ভাবে জখম করে। পরে আল ইমরানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
আহত আল ইমরান, শামিম এবং অন্যরাও একই রকম অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ সরকারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো দাবি করেন, তাদের পৌত্রিক সম্পত্তি দখল মুক্ত করতে গেলে তাদের উপর প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। এতে বজলুর রহমান সহ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ফরিদপুর থেকে লোকজন নিয়ে আসার কথা স্বীকার করে বলেন, তাদেরকে মিমাংসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা সন্ত্রাসী বা মাস্তান নয়।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাসনাত জামান বলেন, উভয় পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।