পাবনার ঈশ্বরদীতে গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ পাবনার উদ্যোগে ও ডাব্লুএফএইচ এর সহযোগিতায় স্টেশন রোডস্থ বাজারের ১নং গেটে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। দুরারোগ্য রোগ হিমোফিলিয়া সম্পর্কে সচেতনাবৃদ্ধিতে বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষ্যে দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঈশ্বরদীতে কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। কর্মসুচির মধ্যে ছিল রোগীদের সমাবেশ, র্যালি ও রোগ সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধিতে আলোচনা সভা। হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ রাজশাহী বিভাগীয় স্বেচ্ছাসেবির প্রধান মো. মেহেদী হাসানের দিক নির্দেশনায় পালিত কর্মসুচিতে হিমোফিলিয়া রোগিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. রানা হোসেন, মো. সজিব মন্ডল, মো. আহমেদ হোসেন, মো. সৌরভ হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একাত্বতা ঘোষণা করে অংশ গ্রহন করেন মো. লাবলু বিশ্বাস, মো. ইয়াসিন আলী শেখ, সৌরভ কুমার দেবনাথ, মো. ইউসুফ হোসেন, নারী সাংবাদিক মুনমুন আক্তার সহ আরও অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে রোগিরা বলেন, হিমোফিলিয়া এক ধরণের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা যা সাধারণত পুরুষদের হয়ে থাকে। যা মহিলাদের মাধ্যমে বংশানুক্রমে বিস্তার লাভ করে। বিশ্বে ১০ হাজার জনের মধ্যে একজন এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহন করে। হিমোফিলিয়া সোসাইটি অব বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই দেশে তিন হাজার ৪০০জনকে এই রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এ রোগের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার হতে পারে।
হিমোফিলিয়া রোগীরা আরও বলেন, হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হলে রোগীদের শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। দাঁতে রক্তক্ষরণ ও হাত-পায়ের জয়েন্ট ফুলে যায়। ফলে রোগীরা অস্থিসন্ধিতে রক্তক্ষরণে সময়মতো চিকিৎসা না করানো হলে আক্রান্ত স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে রোগী পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে। মস্তিষ্কে এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে সময়মতো চিকিৎসা গ্রহন না করলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। এই কারণে হিমোফিলিয়া রোগীদের যেকোন ধরনের অস্ত্রোপাচারের আগে অবশ্যই হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।