পাবনার ঈশ্বরদীতে গত ঙ্গলবার (২৬ মার্চ ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি ইঞ্জিন ও দুটি বোগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে আছে এবং ট্রেনের চাকা ভেঙে রেল লাইনের উপর পড়ে আছে। ঈশ্বরদী-বানেশ্বর মহাসড়কের মধ্যবর্তী ঈশ্বরদী শহরের রেল গেটটি বন্ধ হয়ে যায় এই দুর্ঘটনার কারণে। ফলে রেলগেটের উভয়পাশে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পরপরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ কুমার দাস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) টি এম রাহসান কবীর ও ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ঈশ্বরদী থানা পুলিশের একটি দল যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেন। দুর্ঘটনার কিছুক্ষন পরে পাকশী থেকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ জানান, ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ইতিমধ্যেই রওনা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে রেলগেটের কারণে যে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে সেটি ক্লিয়ার করবো। আশা করছি ৪০/৫০ মিনিটের মধ্যে এটুকু ক্লিয়ার হয়ে যাবে। কিছু লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে মেরামত হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, আপাতত খুলনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে অন্যান্য রুটে ট্রেন চলাচলা স্বাভাবিক রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, পারবর্তীপুর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে মালবাহী একটি ট্রেন ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে বের হয়। কিন্তু এটি বের হওয়ার কথা ছিল না। এবং অপর একটি ট্রেন শান্টিং করার ফলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার পরে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে আমরা স্টেশন মাস্টার, পারবর্তীপুর থেকে খুলনাগামী ট্রেনের এলএম ও এএলএম কে সাস্পেনশন করা হয়েছে।