বান্দরবানের লামা উপজেলার ইয়াংছা বাজারে ভয়াবহ আগুনে ৯টি দোকান ও ১ টি বাড়ি পুড়ে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টার দিকে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের (৮ নং ওয়ার্ড) ইয়াংছা বাজারে একটি অকটেন এর দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা ।
সূত্রে জানা যায়, আগুনের সংবাদ পাওয়ার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুনের সুত্রপাত যেভাবে হোক না কেন এনায়েত হোসেনের এর অকটেন ও তেল এর দোকান থেকেই আগুনের সুত্রপাত বলে জানায় স্থানীয় ব্যবসায়ি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। দোকানের আগুন লেগে অকটেন এর ড্রাম বিস্ফোরিত হওয়ার কারনে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যাওয়া ১০টি দোকানের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি টাকার বেশী হবে ধারনা করা হচ্ছে। এতে ৩ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে লামা ও চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল দেখতে ছুঁটে যান,লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা জামাল।
আরও অংশ নেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ, লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও নারীনেত্রী ফাতেমা পারুল, ফাঁসিয়াখালীর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন চৌধুরী,সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজিমুল হকসহ অনেকেই।
এ বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নুরুল হোসাইন বলেন, ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ১০টি দোকান ও দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের হিসাবে আগুনের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে সময় প্রয়োজন লাগবে।
দোকানে আগুন লাগার ঘটনায় জ্বালানি তেলের দোকানদার এনায়েত হোসেন আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে লামা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অন্য দোকানদাররা বলেন, আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন তারা।
এ ক্ষেত্রে লামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন বলেন, ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যে আমার টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ১০টি দোকান পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিমান প্রায় কয়েক কোটি টাকা হয়েছে।