রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি:
ঝালকাঠিতে নদীর ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে বসবাস করছে একটি অসহায় পরিবার। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য।নাম তার শিরিন বেগম, স্বামীঃ নাসির হাওলাদার। শিরিনের প্রয়াত শশুর আব্দুল হাওলাদার ছিলেন বাদুর তলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বর্তমানে শিরিনদের বসবাস ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বাদুরতলা লঞ্চঘাটের পাশের একটি খুপরি ঘরে। সামান্য চা বিক্রি করে চলে তাদের পরিবার। একটু ঢেউ এলে বা জোয়ারের পানিতে প্রায়ই তলিয়ে যায় ঘরের বিভিন্ন অংশ। লঞ্চঘাট থেকে সামান্য দূরে তাদের একখন্ড জমি থাকলেও সেখানে থাকার মত ঘর নেই তাদের। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়ে নদীর কিনারে পানির সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। শিরিনের স্বপ্ন একটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে নিরাপদে বসবাসের। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে সেটি আর সম্ভব হচ্ছেনা।
সম্প্রতি নদী ভাঙ্গনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে শিরিনদের মানবেতর জীবনযাপনের এ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন ঝালকাঠি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও ডিবিসি টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ আল আমিন তালুকদার । তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী মহোদয়ের নজরে আনেন। পরে জেলা প্রশাসক ওই পরিবারটিকে সহায়তার জন্য রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। ৮ জুলাই-২০২০ শিরিনকে ঘর নির্মাণের জন্য দুই বান/বান্ডিল টিন ও নগদ ৬ হাজার টাকা তুলে দেন রাজাপুরের নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হাওলাদার। সহায়তা পেয়ে অনেক খুশি হন শিরিন।
তবে তিনি জানান, এই টিন ও অর্থ দিয়ে তার ঘরের সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। সাংবাদিক আল আমিন তালুকদার এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, “আমি তাকে আস্বস্থ করে কাজ শুরু করতে বলেছি, আল্লাহ চাইলে ঘরের কোনো কাজই বাকি থাকবে না। শিরিনের এই স্বপ্ন পূরণে আসুন আমরা সবাই তার পাশে দাঁড়াই। শিরিন বেগমকে এই মানবিক সহায়তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি।”