শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

মাদক মামলায় হাজিরা দিলেন পরীমনি

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, বিনোদন প্রতিবেদক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২, ৭:০১ অপরাহ্ণ

দেশীয় চলচ্চিত্রের বহুল সমালোচিত ও বিতর্কিত চিত্রনায়িকা পরীমনি তার বিরুদ্ধে হওয়া রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হাজিরা দিয়েছন। বৃহস্পতিবার (২ জুন) সকাল ১০টায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দেন তিনি। এদিন মামলার বাদী র‌্যাব ১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমানের সাক্ষ্যের জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। তিনি আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং পরীমনির আইনজীবী তাকে জেরা করেছেন।

জানা যায়, এর আগে গেলো ১২ মে সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে হাজিরা দেন পরীমনি। ওইদিন তিনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। অন্যদিকে, পরীমনির ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুম চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে এই বিষয় শুনানির জন্য ২ জুন ধার্য করেন। এছাড়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও একই দিন ধার্য করেন।

এরও আগে ২৯ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। ওইসময় অন্য দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন। এছাড়া আসামিপক্ষের আইনজীবী আপিল ডিভিশনের আবেদনের কপি আদালতে দাখিল করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যে ১২ মে দিন ধার্য করেন।

গেলো ১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী র‌্যাব ১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মামলার বাদীর জবানবন্দি শেষে পরীমনি ও কবীর হালদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন।

২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯ – ২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গেলো বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে মামলার অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

উল্লেখ্য, একই বছরের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন গেলো ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করে।

 

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com