টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার রাশড়া গ্রামের নয়ন আলী, বাক-প্রতিবন্ধী হয়ে জীবনযুদ্ধে সফল তিনি।
চা বানোর শেখার পর রাশড়া করিম বাজারে চা দোকান দিয়ে চা বিক্রি করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। ফুটিয়েছেন সংসারের সবার মুখে হাসি।
বাসাইল সদর ইউনিয়নের রাশড়া গ্রামের মোঃ নালু মিয়া বড় ছেলে নয়ন আলী,
অভাবী সংসারের দুঃখ-কষ্ট ঘোচানোর জন্য ২০০৭ সালের দিকে বাসাইল সদর ইউনিয়নের করিম বাজারে চা বিক্রয় করা শুরু করেন। এর পর থেকে শুরু হয় জীবন জীবিকার যুদ্ধ, ধীরে ধীরে চা চাহিদা বাড়তে থাকে, নয়ন আলী পিতা নালু মিয়া বলেন প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে তিন হাজার কাফ চা বিক্রয় হয়। এই চা প্রাণ করার জন্য বাসাইল উপজেলা সহ সখিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসে। তিনি আরও বলেন এখন আর আমাদের পরিবার অভাব নেই।
স্ত্রী বেলি বেগম, নাবালক এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার করতেছে। অবশেষে তিনি ঘরে বসেই গৃহস্থালী সামগ্রী ঝাড়ু, শামটা, কূলা, দড়ি-কাচি, হোচা, শিশুদের দোলনা, মাটি কাটার টুপড়ি, খাচি ইত্যাদি তৈরি করেন। ধীরে ধীরে পণ্য সামগ্রী তৈরিতে দক্ষতা অর্জন করেন। এই পণ্য সামগ্রী বাজারে বিক্রয় করে জীবন জীবীকার যুদ্ধে সফল বাক-প্রতিবন্ধী নয়ন আলী।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সমাজে প্রতিবন্ধীরা যে বোঝা নয়, নয়ন আলী তার জ্বলন্ত উদাহরণ। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে সংসারের দুঃখ-কষ্ট দূর করে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। আমরা তাকে প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে আসছি। তবে তিনি যদি আমাদের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করেন তবে তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব।