রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ইবির মেধাবী ছাত্র,ঝিনাইদহের সোহেল বাঁচতে চান

মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল,ঝিনাইদহঃ
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৯ অপরাহ্ণ

সোহেলের স্বপ্ন ছিল ভার্সিটি পড়ার। গ্রামাঞ্চলের স্কুলে পড়ালেখা করেও এসএসসিতে পেয়েছিলেন জিপিএ ৫। গরীব পিতার স্বপ্ন পুরণ হয়। মেধার স্বাক্ষর রেখে সোহেল রানা ভর্তি হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়ির কাছে পড়ার বাসনা নিয়ে স্বপ্ন বুনতে থাকেন হরিণাকুন্ডু উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সোহেল। পিতা খালে বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে পড়ালেখার খরচ যোগাতে থাকেন। সোহেল রানা নিজেও বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে টিউশানি করে নিজের খরচ চালিয়ে নিতেন। দীর্ঘ মেহনতের পর কৃষক বাবা ভেবেছিলেন, এবার বোধহয় ছেলে তাঁর পরিবারের হাল ধরবে। কিন্তু কে জানতো ততদিনে সোহেল রান্নার দেহে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ। আকষ্মিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহেল। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জানা যায় সোহেলের দুটি কিডনীই বিকল হয়ে গেছে। মূহুর্তেই কৃষক বাবা-মা’র মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তারপরও কলিজ্বা ছেঁড়া ধন প্রিয় সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে সোহেলের পরিবার। মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেলের অসুস্থতার খবর শুনে তার সহপাঠী বন্ধু, শিক্ষকসহ শুভানুধ্যায়ীরা সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন। ব্যয়বহুল ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে কষ্টে কাটছে সোহেল রানার জীবন। চিকিৎসকরা বলেছেন, দ্রæত কিডনী প্রতিস্থাপন করা না গেলে সোহেলকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে নয়। কিন্তু মেধাবী ছাত্র সোহেল রানার হতদরিদ্র পিতার পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো অসম্ভব। সোহেল রানা বলেন, আমার বাবা কৃষক। দরিদ্র পরিবারে জন্মের পর থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছি। স্কুলের শিক্ষক, প্রতিবেশী ও মানুষের সহযোগিতা নিয়ে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পুরণ হয়েছে। আমার যখন পরিবারের হাল ধরার কথা, তখন আমি হাসপাতালের বিছানায় কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছি। তিনি বস্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন চিকিৎসায় যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন, তা ভাবতেই গাঁ শিউরে উঠছে। তিনি নিজের জীবন বাঁচাতে দেশের বিত্তবান ও হৃদয়বান সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। কেউ সোহেলকে সহায়তা পাঠাতে চাইলে ডাচ-বাংলা- ৭০১৭০১৫৪৮৫৪৯৫ (এজেন্ট ব্যাংকিং) এবং সোনালী ব্যাংক হরিণাকুন্ডু শাখার একাউন্ট নং ২৪০৫৯০১০১২৯৩২। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সহায়তা পাঠাতে ০১৭৪৩৭০০৫৪৭ বিকাশ, ০১৯১৫ ৫১৯৪৮৭ (নগদ) ব্যবহার করতে পারেন।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর