সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় প্রতারক চক্র ও দালালদের দৌরাত্ম

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১, ৬:২১ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রতারক চক্র ও দালালদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। এ প্রতারক চক্র ও দালালদের খপ্পরে পরে অনেকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। প্রতারক চক্র ও দালালের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ প্রতারক চক্রের প্রধান হিসাবে কাজ করছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাংগুড়া ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের আহম্মেদ শরীফের ছেলে মোঃ হাসিনুর রহমান। সে বর্তমান ঢাকা থেকে সারা দেশে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ভাঙ্গুড়া থানা সূত্রে জানা যায় হাসিনুর মাদক ও জাল টাকার মামলাসহ বিভিন্ন থানায় ৬ টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাদের কাছে গিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধান আমার চাচা মামা খালুসহ বিভিন্ন আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাদের কাজ সমাধান করে দিবে এই চুক্তিতে লাক্ষ লাক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারনা করছে। আবার কখনো কখনো নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন। দেশের বিভিন্ন জেলায় এদের সদস্য রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানায়। সম্প্রতি ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাংগুড়া ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া হারোপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াছিন মোল্লার ছেলে গরু ব্যবসায়ী মোঃ মন্জু মোল্লা গত ১৮ মে চাপাই নবাবগঞ্জ থেকে গরু ক্রয় করে আসার পথে রাজশাহী বেলপুকুর বিজিবি ক্যাম্পে গরুসহ ট্রাক আটক করে। এ খবর পেয়ে প্রতারক চক্রের প্রধান হাসিনুর রহমানসহ তার সদস্যরা মন্জু ও তার ভাই এর কাছে গিয়ে বলেন, কাস্টম অফিসার আমার চাচা আমি চাইলে আপনার গরু ২ ঘন্টার মধ্যে ছারিয়ে আনতে পারি। তবে আপনার গরু ছারানোর জন্য আমাকে নগদ ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। মনজু প্রথমে রাজি না হলে তাকে বিভিন্ন কৌশলে ভয়ভিতি দেখানোর এক পর্যায় প্রতারক চক্রের পাতা, ফাঁদে পরে ২লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়।

হাসিনুরের কথামত মন্জুর ভাই ২ লক্ষ টাকা হাসিনুরের বাবা আহম্মেদ শরীফ এর কাছে দেন । টাকা পাওয়ার পর বিভিন্ন অযুহাত দেখানো শুরু করেন প্রতারক হাসিনুর, মনজু প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারে। ব্যবসায়ী মন্জু হতাস হয়ে কাস্টম অফিসের নিয়ম অনুযায়ী গরু ক্রয় করার সকল কাগজ পত্র অফিসে জমাদেন। সাত দিন পর কাস্টমের আইন অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে ব্যবসায়ী মন্জু তার সকল গরু নিয়ে ভাঙ্গুড়া আসেন। এসে মনজু প্রতারকের কাছে টাকা ফেরত চাইলে দেই দেই বলে নানা তাল-বাহানা করেন। একপর্যায় ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের মাধ্যমে শালীস বসানো হয়। শালীসে হাসিনুর তার প্রতারণার বিষয় শিকার করে টাকা ফেরত দেন।

চৌবাড়িয়া হারোপাড়ার ব্যবসায়ী মন্জু বলেন,কেউ বিপদে পরলে তার কাজ করে দিবে বলে এলাকার অনেককে ঠোকিয়ে টাকা নিয়েছে এই হাসিনুর।

এবিষয়ে হাসিনুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা আমার বিষয়ে সকল অভিযোগ মিথ্যা।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর