সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

গুরুদাসপুরে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন মা মেয়ে, প্রতিপক্ষে গ্রেপ্তার ৪

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ১০ জুন, ২০২০, ৫:৪১ অপরাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকার অপরাধ জগতের নক্ষত্র কথিত মক্ষিরানী চামেলীর (৩৬) মেয়ে শাবানাকে অপহরণের মিথ্যা অভিযোগ থেকে প্রতিবেশিরা রক্ষা পেলেও চামেলির বাড়িঘর ভাংচুরের মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রতিবেশি মাহাবুর(৪৫), জিয়া(৪২), রুবেল(৩০) ও আরিফ(৪০)। অপরদিকে গ্রেপ্তারকৃত মাহাবুরের স্ত্রী আদরী খাতুনকে মারধরের মামলায় চামেলী ও তার মেয়ে শাবানাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে তাদের নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়।

 

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে চামেলী নাটোর পুলিশ সুপারকে ফোনে অভিযোগ করে বলেন তার মেয়ে শাবানাকে প্রতিবেশি মাহাবুর ও তার লোকজন জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। পুলিশ সুপারের আদেশে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে নাজিরপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ব্যাপক তল্লাসী চালানো হয়। অবশেষে চামেলীর বাড়ির খাটের নিচ থেকে শাবানাকে উদ্ধার করে পুলিশের টিম। এতে অবসান ঘটে চামেলীর মিথ্যা অপহরণ নাটকের। সেই সাথে পুলিশের তৎপরতায় মিথ্যা অপহরণের অভিযোগ থেকে রক্ষা পেলেও চামেলীর দায়েরকৃত বাড়ি ভাংচুর মামলায় ওই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চামেলী, তার মা হালিমা ও চামেলীর দুই মেয়ে শাবানা(১৮) ও ববিতার(১৬) অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের কাজই মাদক ও যৌন ব্যবসা করা। স্বার্থের জন্য এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, কেউ প্রতিবাদ করলে একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানী করাই চ্যামেলীদের কাজ। তারা বিভিন্নভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণাদি না থাকায় বারবার ধরা পড়েও আইনের ফাঁকফোকরে তারা ছাড়া পায়।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা অপহরণের মামলা থেকে মাহাবুরদের রক্ষা করেছে পুলিশ। কিন্তু চামেলীর দায়ের করা বাড়ি ভাংচুর মামলায় তারা গ্রেপ্তার হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর