সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

বেনাপোল  সীমান্তে মোজাম সিন্ডি কেটের ফেন্সিডিলের রমরমা ব্যবসা

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
আপডেট সময়: রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৩ অপরাহ্ণ

কোন রকম নিয়ন্ত্রন হচ্ছে না ফেনসিডিল আসা। ভারত থেকে প্রতিদিন দেশের অভ্যান্তরে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার বোতল ফেনিসিডিল পাচার হয়ে আসছে। এর এই সিন্ডিকেটের মুল নায়ক দৌলতপুর গ্রামের হারুন অর রশীদ এর ছেলে মোজাম আলী। সীমান্তের কিছু অসৎ নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় এসব ফেনসিডিল দেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করে বলে মোজাম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে আগের চেয়ে কম আসছে বলে তারা দাবি করে।

দৌলতপুর গ্রামের মোজাম আলী ভারত বাংলাদেশ এর দৌলতপুর গ্রামের ঘাট মালিক এবং মাদক সিন্ডিকেটের প্রধান বলে জানা গেছে। প্রতিদিন এই সীমান্ত দিয়ে অবাধে শাড়ি থ্রি পিছ এবং ফেন্সিডিলের বড় বড় চালান প্রবেশ করছে। আর ঈদ উপলক্ষেও বেশী মুনাফা লাভের আশায় অতি উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে আনছে ফেনিসিডিল। আর এই ফেনসিডিল এর ১০০ টির চালানে ৫ হাজার টাকা অসৎ নিরাপত্তার দায়িত্ব রত কর্মচারীদের দিয়ে পাচার করে বলে এরকম অভিযোগ উঠেছে। আবার একই পরিমান টাকা দেয় যে সব লোক এই ফেনসিডিল বহন করে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে সাম্প্রতিক কালে ফেন্সিসিডিল এর চালান বেশী ভারত থেকে আসছে যার প্রমান বেনাপোল পোর্ট থানা। গত এক বছরে এই থানার সদস্যরা যত
ফেন্সিসিডিল গাজা, ইয়াবা জব্দ করেছে এর আগে এত উদ্ধার হতে দেখা যায়নি।

দৌলতপুর গ্রামের আরিফুল বলেন, এ পথে মোজাম সিন্ডিকেটে ফেনসিডিল সহ অন্যান্য পণ্য ভারত থেকে পাচার করে আনে। এরা প্রতি ১০০ টি ফেনসিডিলে ৫ হাজার করে টাকা দেয় যারা সীমান্তে দায়িত্বে থাকে। তবে এর মধ্যে সকলে না। কিছু নিরাপত্তা সদস্য আছে যারা গোপনে এই টাকা খেয়ে মালামাল ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে যে সকল বহনকারী তারাও প্রতি ১০০ পিচ ফেনসিডিল ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকে। আপনি ফেনসিডিল এর ব্যবসা করেন কিনা জানতে চাইলে অস্বীকার করে। সে বলে আমার নামে এই গ্রামে আরো লোক আছে তারাই করে।

সরেজমিনে দৌলতপুর পুটখালী সড়কের ব্রীজ এর পাশে মোজাম এর সাথে আলাপ কালে সে জানায় আমরা কাজ করি। তবে এখন কাজ হচ্ছে না। আগের মত কাজ করতে পারছি না। এখন সামান্য কাজ হয় তা দিয়ে চলা মুশকিল। মাত্র ১০% কাজ হয় বলে সে দাবি করে। ফেনসিডিল প্রতি কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে সে বলে আগের চেয়ে এখন খরচ বেশী। মোজাম আরো বলে তার সাথে কাজ করত আহাদ নামে একজন বেরিয়ে যেয়ে আর একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বর্তমানে তাদের ফেনসিডিলের চালান ক্যাম্পে ধরা পড়ছে  বলে দাবি করে।

ফেন্সিসিডিল এর চালান বর্তমানে ভারত থেকে বেশী প্রবেশ করছে বেনাপোল পোর্ট থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস আই ওবীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা চেষ্টায় আছি। মাদক কোন প্রকার ছাড় নেই।

পুটখালী কোম্পানী সদর ইনচার্জ সুবেদার লাভলুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন যারা নিরাপত্তা  সদস্যদের কথা বলেছে এটা সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। এছাড়া এই সীমান্ত দিয়ে এখন হাহাকার চলছে। কোন প্রকার মাদক বা অন্যান্য পণ্য প্রবেশের  সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি চুরি করে দুই একটা আনে তবে তা ভিন্ন কথা। আমরা সব সময় তদারকি করে থাকি। আর সব সময় কোথায় কি হচ্ছে তাও তদারকি করা হয়। 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর