বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি চট্টগ্রামে শপথ নেওয়ার যাওয়ার সময় একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীর লেলিয়ে দেওয়া কুকুরেরা আমার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে। আমার জীবনের নিরাপত্তার ছেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডাইয়ী করেছি।
সে ষড়যন্ত্রে উপস্থিত ছিল, দাগনভূঞার উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান লিপটন, ফেনী পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজি, কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, একরাম পুত্র শাবাব চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম রাহাত, ইস্কান্দার মির্জা শামীম ও নুরুল করিম জুয়েল। আল্লাহর রহমতে একটা ট্রাক এর কারণে আমি বেঁচে যাই। আমি শপথ নেওয়ার যাওয়ার সময় নোয়াখালীর এসপিকে বলেছিলাম আমার সাথে আমার স্ত্রী, সন্তান, মহিলা কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীরা আছে, আপনি আমাদেরকে নিরাপত্তা দিন। কিন্তু তিনি নিরাপত্তা দেন নাই। তিনি ওসিকে নিষেধ করেছেন যেন আমাকে নিরাপত্তা না দেয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইভিএম ভোটের ইতিহাসে বসুরহাট পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ৬৬% ভোট পড়েছে, কাস্টিং ভোটের ৭৭% ভোট আমি পেয়েছি, জামায়াত ও বিএনজি প্রার্থী ২জনে মিলে পেয়েছে ২৩% ভোট, চট্টগ্রামে ভোট ডাকাতি করেও ২২% ভোট কাস্টিং করতে পারেনি। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বাঙালিরা আমাকে পছন্দ করেন। শুধু ওবায়দুল কাদের আমাকে পছন্দ করতেছেন না, তাঁর স্ত্রীর প্ররোচনায়, আমাকে সর্বক্ষেত্রে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আমার হামলাকারীদের আশ্রয় প্রশয় দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরীকে বলেছেন, আমার গাড়িতে গুলি করিয়ে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য, যাতে আমি সত্য কথা না বলি। তারা এ সুযোগে আমাকে মেওে ফেলার চেস্টা করছে। দাগনভূঞায় যে হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকার বশিলায় বসে এ হামলার ষড়যন্ত্র করেছে, সে হামলায় আমাকে ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য তারা ৫০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে।
কাদের মির্জা গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মির্জা আরও বলেন, গতকাল ফেনীতে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যে মিথ্যাচার করেছে তার একটির সাথে আমি জড়িত থাকলে আল্লাহ আমার বিচার করুক, এখানে আমার মৃত্যু হোক। তিনি বলেন, আমি মরার আগে মরব না, লড়াই করে মরব। একরাম চৌধুরী আমার পরিবারকে রাজাকার পরিবার বলেছে, আপনারা বলুন আমি কি রাজাকার পরিবারের সন্তান? আমার নাকে নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত আমি এ মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে যাবো। আগামী কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের একটি মিটিং আছে। সেখানে প্রমাণিত হবে আমি রাজাকার পরিবারের সন্তান নাকি সন্তান নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা কাদের বলেন, আমার দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি বন্ধ করা, আমার গাড়ি বহরে দুইবার হামলা হয়েছে, তাদের বিচার করা। নোয়াখালী ডিসি মোঃ খোরশেদ আলম, এসপি মোঃ আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি, ওসি (তদন্ত) রবিউল হক এর অপসারণ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও টোকায় মাদক স¤্রাট ফখরুল ইসলাম সবুজকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
এসব দাবীতে বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল, আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পুরো কোম্পানীগঞ্জে হরতাল এবং শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচী পালন করব। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এসব কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। তিনি সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সফলতা ও ব্যর্থতার বিচার এখন করা যাবে না, সময় বলে দিবে, ইনশাআল্লাহ পরিবর্তন হবে।
নোয়াখালীর ডিসি এসপি ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণের দাবীতে গত মঙ্গলবার রাত ৮ টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হাজার হাজার আ’লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ কোম্পানীগঞ্জ থানা ঘেরাও করে রাখেন এবং অনির্দিষ্টকালের হরতাল ঘোষণা করেন।
CBALO/আপন ইসলাম