রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ঝালকাঠি রাজাপুরে হেমায়েত বাহিনীর তান্ডবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মিনু মোল্লা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০, ৮:৫৬ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ঝালকাঠি রাজাপুর এলাকায় হেমায়েত বাহিনীর সদস্যরা মিনু মোল্লা নামে একজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুই হাত ও পা ভেঙ্গে দিয়েছে। তাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর বুধবার) রাত ১০টার দিকে ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার বড় কৈবর্তখালী এলাকায় আফজাল গাজির বাড়ির পূর্ব পাশে ব্রিজের উপরে এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলা সূত্রে ও স্বজনরা জানান, গত (১৬ নভেম্বর) বুধবার রাতে রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকে হইতে বাড়ি ফেরার পথে। গাজি বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির রাস্তায় দিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওত পেতে থাকা আমার স্বামী কিছু বুঝে ওঠার আগেই হেমায়েত বাহিনীর প্রধান আলিম মোল্লা,পিতা শাহ সেকান্দার মোল্লা, এমরান হাওলাদার পিতা.হেমায়েত হাওলাদার, হেমায়েত হাওলাদার পিতা. আঃ রশিদ হাওলাদার, আঃ মালেক হাওলাদার ও আঃ কালাম হাওলাদার উভয় পিতা মৃত আঃ মন্নান হাওলাদার। সর্ব সাং বড় কৈবর্ত খালী থানা রাজাপুর জেলা ঝালকাঠি। আসামিরা পথ রোধ করে দাড়ায় ও এলোপাথাড়ি ধারালো দেশীও অস্ত্র ও তালগাছের লাট দিয়ে মাথায়,দুই হাতে ও পায়ে আঘাত করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। এছাড়া আলিম মোল্লার সঙ্গে থাকা সহযোগীরা হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ও পা ভেঙে ফেলে।

 

আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্য পাশের ধান ক্ষেতে পানির মধ্যে পা দিয়ে চেপে ধরে। এ সময় মিনু মোল্লার ডাক চিৎকারে স্বাক্ষীরা দৌড়ে আসে ও হেমায়েত বাহিনীর হাত থেকে আমার স্বামীকে রক্ষা করে। এরপর মিনু কে গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা প্রথমে রাজাপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে প্রায় একমাস যাবৎ হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি আদালতে আহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে গত ২০/৯/২০২০ইং তারিখ একটি মামলা দায়ের করে । আদালত রাজাপুর থানাকে মামলাটি নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন। রাজাপুর থানা গত ২৪/০৯/২০২০ইং তারিখ নথিভূক্ত করেন যাহার মামলা নাম্বার ১৫২। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত মিনু মোল্লা বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হামলাকারী ঐ এলাকার কথিত ভূমিদস্যু হেমায়েত বাহিনীর সাথে জমি-জমা নিয়ে ৩/৪ বছর যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে বিভিন্ন সময় তাদের হুমকি-ধামকিও দেয়া হয় বলে জানান স্বজনরা। মামলার বাদী নাসিমা বেগম বলেন,আমার স্বামীকে কথিত ভূমিদস্যু হেমায়েত বাহিনীর সদস্যরা ঐদিন রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী যানে মারার প্লান করেছিলো কিন্তু আল্লাহর রহমতে স্বাক্ষীরা এগিয়ে আসলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি। আমার পরিবার নিয়ে বর্তমানে আতংকের মধ্যে বসবাস করছি।

 

আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সু বিচার দাবি করছি। তিনি আরো জানায়,মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রবিউল ইসলাম আসামিদের সাথে সখ্যতা তৈরি করেছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় ও আমাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি দারোগা রবিউল স্যার কে ফোনে কয়েকবার জানিয়েছি যে,আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াইতেছে আপনি আসলেই তাদের আটক করতে পারবেন। তিনি আসছি আসছি বলে সময় ক্ষেপন করে আসামিদের সতর্ক করে এলাকায় আসেন। আমরা একজন আসামি হেমায়েত কে অন্য দারোগা দিয়ে আটক করিয়েছি। আমাদের মামলার তদন্ত তার কাছে থাকলে আমাদের বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হেমায়েত বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর