শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া ইউনিয়নে একের পর এক নৃশংস হত্যাকান্ড

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ

আব্দুল্লাহ ফছিয়ার নড়াইল থেকে:

নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নে লাগাতার নৃশংসতায় লিপ্ত হোতাদের বিচারের দাবি জানায় নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চঞ্চল শাহরিয়ার মিম। দিঘলিয়া ইউনিয়নে বিভীষিকাময় নৃশংস হত্যাকান্ড নামক অধ্যায়ের সূত্রপাত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে। কালক্রমে আধিপত্যের লড়াইয়ে নির্মমভাবে হত্যার শিকারে পরিণত হয়েছে প্রায় ৫০ এর অধিক মানুষ। সম্প্রতি সময়ে দিঘলিয়া ইউনিয়নে মাদক কারবারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দিঘলিয়া বাজার কেন্দ্রিক চলে সুদের মহা রমরমা ব্যবসা। দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি, তালবাড়িয়া, দিঘলিয়া বাজার এই তিনটি গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষের হিংস্রতা ক্রমান্বয়ে আলোর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষরূপী এসব নরপশুর ভয়াল রক্তাক্ত থাবায় ইউনিয়নের জনজীবনে সবসময় বিরাজ করে হতাশা।

 

দিঘলিয়া ইউনিয়নে সর্বপ্রকার অপকর্মে বারংবার লোকমুখে উঠে আসে সোহেল খানের নাম। কে এই সোহেল খান? আরও উঠে আসে রিপনের নাম। ( রিপন বর্তমানে ধর্ষণ মামলায় জেলে)। সম্প্রতি ১১-০৯-২০ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় ইউপি ছাত্রলীগ নেতা শেখ জহিরুল ইসলাম ওরফে রেজওয়ানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এর আগেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশকে। পলাশ হত্যাকান্ডের আগে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় কুমড়ি গ্রামের ইলিয়াস শেখ। তার আগে হত্যা করা হয় তনুকে। উপরের উল্লেখিত দিঘলিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি হত্যাকান্ডে সোহেল খাঁনের নাম জড়িত।

 

সোহেল খানের নামে মাদক, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন রকমকের অপকর্মে ২০ টিরও অধিক মামলায় জড়িত। দিঘলিয়া ইউনিয়নের এক আতংকের নাম সোহেল খাঁন। দিঘলিয়া ইউনিয়নের সমাজকে কলুষিত করে সে বারংবার একই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। ইউপি থেকে রক্তের গন্ধ রূখতে কতিপয় নৃশংস লোককে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করা উচিৎ মনে করি।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর