বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :

কাঁকড়া খুঁজতে গিয়ে ধ*র্ষণের শিকার শিশু

মোঃ নাজমুল হুদা, লামা(বান্দরবান):
আপডেট সময়: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলীপাড়ায় রাতে ঝিড়িতে কাঁকড়া খুঁজতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ম্রো জনগোষ্ঠীর এক শিশু (১২)।
শনিবার (৭ জুন) রাতে কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত মেন ইয়া ম্রো (৪০) কুহালং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড -বাকীছড়া বটতলী গোদার পাড় এলাকার মেন চং ম্রো”র ছেলে।
শিশুটির মা জানায়, দুই শিশুকে নিয়ে মেন ইয়া ম্রো (৪০) নামে এক ব্যক্তি সন্ধ্যায় ঝিড়িতে কাঁকড়া ধরতে যায়। ঝিড়িতে কাঁকড়া খুঁজতে খুঁজতে রাত বেশি হলে মেন ইয়া ম্রো বলে যে বাড়ি থেকে তো অনেক দূরে এসেছি, তাই আমরা আজ রাতে টংঘরে ঘুমিয়ে সকালে বাড়িতে ফিরবো।  সেই টংঘরে রাতে অবস্থান করার সময় মেন ইয়া ম্রো তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
 গভীর রাতে মেয়েটি চিৎকার করে বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে এলে কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার মাকে সে জানায় মেন ইয়া ম্রো তাকে ধর্ষণ করেছে। তখন পাড়ার লোকজন মিলে ভোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়
বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. দিলীপ চৌধুরী জানান, শিশুটিকে সকাল ৮টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয় কয়েকজন যুবক-যুবতী ভাষান্তরের মাধ্যমে তথ্য দিলে রক্ত সংগ্রহ করে জরুরি অপারেশন শুরু করা হয়। অপারেশনে দেখা যায়, শিশুটির পায়ুপথ ও জরায়ুর ভেতরে-বাইরে ৯০% কাটাছেঁড়া রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি ধর্ষণ না হয়, তবে একটি শিশুর স্পর্শকাতর অঙ্গে এতটা ক্ষত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ পারভেজ জানান, গত রাতে মাছ ধরতে গিয়ে কোনো একটি টংঘরে শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে। সে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। তারপরও পুলিশের একটি টিম ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর