মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন, যা বাদ পড়ছে, যা যুক্ত হয়েছে- শুভংকর সাহা

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ণ

জাতীয় শিক্ষাত্রম ও পাঠ্যপুস্তক বাের্ড NCTB বলছে এবার তুলে ধরা হয়েছে নির্মহ ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে সবার অবদান তুলে আনতে যােগ করা হয়েছে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী সহ অন্য নেতাদের।
প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আমার বাংলা বইয়ের প্রথমে না দিয়ে শেষ পাতায় জাতীয় সংগীত ও জলাতীয় পতাকার ছবি রাখা হয়েছে। সব পাঠ্য বই থেকে বাদ পড়েছে শেখ হাসিনার ছবি। পাঠয বইয়ের ব্যাকপেজে তুলে ধরা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুথানের বিভিন্ন গ্রাফিতি। বাংলা ও ইংরেজি বই থেকে ৭টি গদ্য ও পদ্য বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম শ্রেণি;
প্রথম শ্রেশির বাংলা বইয়ে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে পিপড়া ও পায়রার গল্প। ৩১ নম্বর ও ৩৫ নম্বর পূষ্ঠায় দুটি ছবি বাদ দেওয়া হয়েছে। ৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় এ-কার এর উদাহরণে রােদের তেজের পরিবর্তে মেঘের ছবি দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় অধ্যায়ের নাম পরিবর্তন করে “আমাদের মুক্তিফুদ্ধ” করা হয়েছে। সেখানে শুরতেই ছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি । সেটি বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন একটি দূশ্যের ছবি দেওয়া হয়েছে। অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে। তাকে জাতির পিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। নতুন বইয়ে এসব বাদ পড়েছে। এই অধ্যায় শুরু করা হয়েছে ২৫ মার্চের ঘটনা দিয়ে।
দ্বিতীয় শ্রেণি:
দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে “সিংহ আর ইদুরের গল্প” নতুন করে ঘােগ হয়েছে। এ ছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা “সােনার ছেলে” বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কাজী নজরুল ইসলামের ওপর লেখা “দুখু মিয়ার জীবন যােগ করা হয়েছে। *পহেলা বৈশাখ শীর্ষক গদ্যের নাম পরিবর্তন করে “নববর্ষ” রাখা হয়েছে। বইয়ের ২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় পন্না সেতুর একটি ছবি পরিবর্তন করা হয়েছে। নববর্ষ অধ্যায়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার ছবি বাদ দিয়ে সেখানে নববর্ষের অন্য ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণি:
তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে নতুন করে সংযােজন করা হচ্ছে “ঘাসফড়িং ও পিপড়ার গল্প এবং রবীন্দ্রনা্ ঠাকুরের “ছেলেবেলা”। বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গদ্য “সেই সাহসী ছেলে”। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে আমাদের জাতির পিতা বাদ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যাচ্ছে জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে লেখা “আমাদের চার নেতা”। ইংরেজি বইয়ের শেষ অধ্যায়ে লেখা গদ্য “অ্যা ওয়ান্ডারফুল বয়” বাদ যাচ্ছে। এতে শেখ মুজজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেোলে শেখ রাসেলের জীবনী স্থান: পেয়েছিল।
চতুর্থ শ্রেণিঃ
চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বাদ যাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মামতাজ উদ্দিনের লেখা “বাংলার খােকা”এবং নির্মলেন্দু গুনের লেখা কবিতা “মুজিব মানে মুক্ত”। যােগ হস্ছে “টুনুর কথা” ও রজনীকান্ত সেনের কবিতা “স্বাধীনতার সুখ”। এ ছাড়া “মােবাইল ফোন” নামক গদ্য বাদ যাচ্ছে। সেখানে যুক্ত হচ্ছে “বই পড়তে অনেক মজা। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রসঙ্গ কথা বাদ যাচ্ছে। ১৫ নম্বর অধ্যায়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুন্ধ অংশে কয়েকটি লাইন সংযােজন ও বিয়ােজন করা হচ্ছে। স্বাবীনতার ঘোষক হিসেবে পাঠ্য বইয়ে ফিরছেন জিয়াউর রহমান।
পঞ্চম শ্রেণি :
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইমের “আমরা তােমাদের ভুলবাে না প্রবন্ধে জুলাই অভ্যুথানের শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের  ছবি যুক্ত করা হয়েছে
তথ্য সংগ্রহকারী:
শুভংকর  সাহা
সহকারী শিক্ষক,
ঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
গয়হাটা,নাগরপুর,টাংগাইল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর