পাবনার চাটমোহরে জমি নিয়ে দ্বন্দেদ্বর জেরে হেলাল প্রামানিক (৩৫) এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের সোহাগবাড়ী গ্রমে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলাল প্রামানিক সোহাগবাড়ী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী প্রামানিকের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক ছিলেন। আহতরা হলেন, আব্দুল ওয়াহেদ প্রামানিক, বাবলু প্রামানিক ও আবু মাজন প্রামানিক। তারা নিহত হেলাল উদ্দিন এর ভাই।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে একই গ্রামের গুদু প্রামাণিকের ছেলে সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে জমি কেনেন আজাদ হোসেনের ছেলে খলিল হোসেন ও এলবাজ প্রামানিকের ছেলে জিয়া প্রামানিক। কিন্তু সাইদুল ইসলাম সেই জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে তালবাহানা করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। থানায় উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়েছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে কথা কাটাকাটির জেরে খলিল হোসেন কে মারধর করে অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই জামাত আলী। এ ঘটনা দেখে নিহত হেলাল প্রমানিকের ভাই ওয়াহেদ প্রামানিক সাইদুলকে বলেন দ্বন্দ্ব না করে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে। পরে সাইদুল তার দুই ভাই নুর হোসেন, শাহ আলম, চাচাতো ভাই জামাত আলী সহ তাদের সহযোগীরা গিয়ে আব্দুল ওয়াহেদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বেধরক মারধর করে।
বাজারে থাকা ওয়াহেদের তিন ভাই হেলাল, বাবলু ও আবু মাজন জানতে পেরে চার ভাই মিলে নুর হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখন সাইদুল, নূর হোসেন, শাহ আলম সহ অন্যান্যরা তাদের চার ভাইকে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্রাঘাত করলে তারা গুরুতর আহত হন। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা আহত চার ভাইকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন প্রামানিককে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিন ভাইকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা একজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।