পাবনার ঈশ্বরদীতে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার ( ৮মার্চ ) রাত সাড়ে ৮টার সময় পৌর শহরের আকবরের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী চলনবিলের আলোকে বলেন,  ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পাবনা-৪ ঈশ্বরদী- আটঘরিয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপির বাড়িতে কঠোর নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেছি। কি কারণে এবং কারা এই হামলা ও ভাঙচুর করেছে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বাড়িতে থাকা পাহারাদার মোঃ রানা হোসেন বলেন, আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশেই প্রাচীর নির্মাণ কাজের সামগ্রী দেখার জন্য গেলে হঠাৎ করে দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন লোক মাস্ক মুখে পড়া অবস্থায় এসে বাড়ির সামনে রাখা ১টি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং তাদের হাতে থাকা অবস্থায় একটি বিদেশী মদের বোতল ভেঙে দ্রুত পালিয়ে যায়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর অটোরিকশা চালক মোঃ বক্কার আলী বলেন, আমি বাজার থেকে আমার গাড়িতে করে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কয়েকজন লোক লাঠিসোটা নিয়ে গেইটের সামনে রাখা মোটরসাইকেল ও রাস্তার পাশে রাখা প্রাইভেট কার ভাঙচুর করছে। আমি সেটা দেখে ওখান থেকে গাড়ি টান দিয়ে ভয়ে দ্রুত ভূতেরগাড়ী মোড়ের দিকে চলে যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্র সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বাড়িতে আসি। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপির বাড়িতে রাতে এভাবে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেনো তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল চলনবিলের আলোকে জানান, সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার খবর শুনে বর্তমান এমপি গালিবুর রহমান শরীফের নির্দেশে এখানে এসেছি। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন-দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশের প্রতি অনুরোধ করছি।

সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, আমার বাড়ির ভেতরে কিছু লোক নিয়ে বসে কথা বলছিলাম। হঠাৎ গেইটের সামনে ভাঙচুরের শব্দ শুনে বাহিরে বের হয়ে দেখি আমার ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেট কার ও আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা একজনের মোটরসাইকেলে হামলা ও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি করছি। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তরা সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে আমি মনে করছি।