পাবনার চাটমোহরের ফৈলজানা ইউনিয়নের দিঘুলিয়া গ্রামে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী ও সন্তানকে গলায়ফাঁস দিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত কে বা কারা এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশীদ দীর্ঘদিন যাবৎ মালয়েশিয়া প্রবাসী। বাড়িতে তার স্ত্রী লাবনী (৩২), মেয়ে রিয়া (১৩) ও ছেলে রিয়াদ (৯) বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে রিয়া বাড়িতে ছিলনা। রাত দশটার দিকে লাবনী তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে পরেন।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিবেশি শাহীন লাবনীদের বাড়ি গিয়ে কারো সারাশব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দেখতে পান আসবাব ও বিছানাপত্র সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে আছে। শাহীন লাবনী ও রিয়াদকে ডাকাডাকি শুরু করেন এবং প্রতিবেশিদের বিষয়টি জানায়।
এক পর্যায়ে বাড়ির গোয়াল ঘরে পা বাঁধা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় লাবনীকে মৃতাবস্থায় পরে থাকতে দেখেন এবং রিয়াদকে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পান তারা।
স্থানীয়রা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মা ও ছেলে খুন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কেউ হয়তো টাকা পয়সা চুরি বা ডাকাতি করতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
চাটমোহর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, কে বা কাহারা কেন এ জোড়া হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ দুইটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।