সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

ই-পেপার

টানা বর্ষণে বীরগঞ্জে আগাম শীতকালীন সবজির ক্ষতি

ফরহাদ হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১:৩৯ অপরাহ্ণ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলাটি বিভিন্ন কৃষি পণ্য চাষাবাদ ও রপ্তানির মাধ্যমে সারাদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ। তারা সরাসরি কৃষিকাজ ও চাষাবাদের সাথেই সম্পৃক্ত। তাদের অর্থনৈতিক আয়ের বড় অংশ আসে কৃষি হতে।
এরই ধারাবাহিকতায় আর্থিকভাবে মুনাফা লাভ ও স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় এই এলাকার অধিকাংশই কৃষক পতিত জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করেছে এবং  আগাম  সবজি চাষের মাধ্যমে সবুজ শ্যামল ছায়ায় ঢেকে গেছে অধিকাংশ এলাকা তাদের এই আগাম শীতকালীন চাষযোগ্য সবজির মধ্যে ফুলকপি, পাতাকপি, সীম, মুলা, কাঁচামরিচ, টমেটো, বরবটি, বেগুন, পালংশাক, লালশাক, লাউ অন্যতম।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২হাজার ৮৯৬হেক্টর। এর মধ্যে ৯শত হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করা হয়েছে। এবার খরিপ-২ মৌসুমে সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে ৯৫২হেক্টর জমিতে এবং রবি মৌসুমে ২হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কিন্তু কয়েক দিনের তাপদাহের পর গত বুধবার সন্ধ্যা হতে বৃহস্পতিবার  পর্যন্ত উপজেলায় ৪৮মিলি লিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৮৩মিলি লিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম।
এই অতি বৃষ্টির ফলে উপজেলার সবজিগ্রাম নামে খ্যাত সাতোর ইউনিয়নের প্রাণনগরসহ মোহনপুর, শিবরামপুর, সুজালপুর, শতগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাঠে থাকা আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন সবজি চাষিরা। সেই সাথে নেতিয়ে পড়েছে  সবজি গাছের চারা এবং উঠতি ফসলের অনেক পানিতে পঁচতে শুরু করেছে এই বৃষ্টিতে।
এ ব্যাপারে উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের শীতলাই  গ্রামের সবজি চাষি গ্রামের আবু রায়হান জানান, আমি একটি বেসরকারি এনজিও হতে ঋণ নিয়ে  দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করেছি। প্রতিটি গাছ বেড়ে উঠেছিল সতেজ হয়ে কিন্তু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে ফুলকপির গাছগুলো  দুর্বল হয়ে যাচ্ছে এবং নেতিয়ে পড়েছে মাটির সাথে।
একই কথা জানিয়ে সবজি চাষি কায়সার আহমেদ বলেন, আমি শীতকালীন আগাম সবজি পাতাকপি, ফুলকপি  চাষ করি। এতে কয়েক বছর ভালো টাকা লাভ করেছি। তবে এবার বৈরী আবহাওয়ার কয়েকদিন প্রচন্ড তাপদাহের পর টানা বর্ষন শুরু হয়েছে। এতে ফসলের যে ক্ষতি হলো আসল টাকা ঘর করতে পারো কি না জানি না ।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কাসেম জানান, উপজেলা বেশির ভাগ শীতের সবজি আবাদ হয় প্রাণনগর গ্রামে। এখানে মোট সবজি চাষের পরিমান ৭০হেক্টর জমিতে। আগাম সবজি চাষ একটু কঠিন কাজ। চারা রোপনের পর থেকে প্রতিনিয়ত জমিতে ক্ষেত পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করতে হয়। তাপদাহের পর বর্তমানে টানা বৃষ্টির ফলে আগাম সবজি চাষে আশংকার সৃষ্টি হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে শিকড়ে পচন ধরতে চারা মরে যেতে পারে। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে আমাদের কৃষক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com